‘এ দেশ তোমার আমার’ চলচ্চিত্রে নৃত্যশিল্পী হিসেবে বড় পর্দায় অভিনয় অভিষেক করেন অভিনেত্রী শবনম। এরপর ১৯৬১ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে মুস্তাফিজ পরিচালিত ‘হারানো দিন’ চলচ্চিত্রে নায়িকা হিসেবে অভিষেক ঘটে কিংবদন্তি এই অভিনেত্রীর। সেই সিনেমায় ছিলো বিখ্যাত সেই গান ‘আমি রূপনগরের রাজকন্যা রূপের জাদু এনেছি, ইরান-তুরান পার হয়ে আজ তোমার দেশে এসেছি’ যা আজো বিখ্যাত।
১৯৬২ সালে উর্দু ‘চান্দা’ সিনেমায় অভিনয় করে সমগ্র পাকিস্তানে তারকাখ্যাতি অর্জন করেন। ষাট থেকে আশি দীর্ঘ তিন দশক ধরে একটানা অভিনয় করে নায়িকা খ্যাতি ধরে রেখেছিলেন তিনি। সর্বশেষ ১৯৯৯ সালে কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘আম্মাজান’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এরপর আর সিনেমায় দেখা যায়নি তাকে। শবনমই একমাত্র অভিনেত্রী, যিনি মোট ১৬ বার পাকিস্তানি সিনেমার সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘নিগার অ্যাওয়ার্ড’ লাভ করেন।
রবিবার, ১৭ আগস্ট ‘রূপনগরের রাজকন্যা’খ্যাত এই অভিনেত্রীর ৮০তম জন্মদিন। বরেণ্য অভিনয়শিল্পী শবনমের আসল নাম ঝর্ণা বসাক। ১৯৪৬ সালের ১৭ আগস্ট ঢাকার নবাবপুরে জন্ম। বিস্ময়ের বিষয়, এত দীর্ঘ অভিনয় জীবনে শবনমকে কখনো কোন টেলিভিশন অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে দেখা যায়নি। এবার সেই অপেক্ষার অবসান ঘটেছে।
জন্মদিন উপলক্ষে চলচ্চিত্রের দীর্ঘ ও সফল ক্যারিয়ার পেরিয়ে প্রথমবার তিনি হাজির হলেন কোনো টিভি অনুষ্ঠানে।
নিজের আশিতম জন্মদিন উপলক্ষে চ্যানেল আইতে ‘শবনম : রূপনগরের রাজকন্যা’ শিরোনামে এক সাক্ষাৎকার ভিত্তিক অনুষ্ঠানে অংশ নিলেন তিনি। সাংবাদিক আবদুর রহমানের উপস্থাপনা ও পরিচালনায় এসে বলেছেন তার স্মৃতিময় জীবনের নানা গল্প। অনুষ্ঠানটি প্রচার হবে ১৭ আগস্ট রাত ৮টা ২৫ মিনিটে চ্যানেল আইতে।
ষাটের দশক থেকে আশি দশক পর্যন্ত সিনেমায় রাজত্ব করেছেন শবনম। ‘আমার সংসার’, ‘জুলি’, ‘জোয়ার ভাটা’, ‘নাচঘর’, ‘নাচের পুতুল’, ‘সহধর্মিণী’ থেকে শুরু করে মান্না অভিনীত ‘আম্মাজান’সিনেমাসহ—বাংলা ও উর্দু মিলিয়ে প্রায় ১৮৫টিরও বেশি চলচ্চিত্রে উপস্থিত ছিলেন তিনি।