বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে ঢাকায় সাত দিনব্যাপী যাত্রা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। দেশের যাত্রা শিল্পীদের উৎসাহিত করার লক্ষ্যে ও যাত্রাশিল্পকে এগিয়ে নিতেই মূলত এই উদ্যোগ।
১ নভেম্বর থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যাত্রা উৎসব ২০২৪ অনুষ্ঠিত হবে। সাত দিন ধরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের যাত্রা দলগুলো তাদের সৃজনশীলতা উপস্থাপন করবে।
আরও জানা গেছে, যাত্রা উৎসবের প্রথম দিন, অর্থাৎ ১ নভেম্বর কবির খানের পরিচালনায় আগন্তুক পালাকারের ‘নিহত গোলাপ’ দেখানো হবে। যাত্রাপালাটি মঞ্চে উপস্থাপন করবেন সুরভী দলের সদস্যরা।
এরপর ২ নভেম্বর দেখানো হবে শামীম খন্দকারের পরিচালনায় প্রসাদ কৃষ্ণ ভট্টচার্য পালাকারের ‘আনার কলি’। এই যাত্রাপালাটি মঞ্চে উপস্থাপন করবেন নিউ শামীম নাট্য সংস্থার সদস্যরা।
মানস কুমারের পরিচালনায় রঞ্জন দেবনাথ পালাকারের ‘মেঘে ঢাকা তারা’ যাত্রাপালাটি ৩ নভেম্বর দেখানো হবে। যা মঞ্চে উপস্থাপন করবেন বঙ্গবাণী অপেরার সদস্যরা।
চতুর্থ দিন থাকবে ব্রোজেন কুমার বিশ্বাসের পরিচালনায় দেবেন্দ্রনাথ পালাকারের ‘লালন ফকির’ যাত্রাপালার আয়োজন। এটি মঞ্চে উপস্থাপন করবেন নর-নারায়ণ অপেরার সদস্যরা।
পঞ্চম ও ষষ্ঠ দিন দেখানো হবে যথাক্রমে মনির হোসেনের পরিচালনায় সামশুল হক পালাকারের ‘আপন দুলাল’ ও আবুল হাশেমের পরিচালনায় শ্রী শচীননাথ সেন পালাকারের ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলা’। ‘আপন দুলাল’ শিরোনামের যাত্রাপালাটি মঞ্চে উপস্থাপন করবেন বন্ধু অপেরার সদস্যরা। পরদিন ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলা’ মঞ্চে উপস্থাপন করবেন যাত্রাবন্ধু অপেরার সদস্যরা।
যাত্রা উৎসবের শেষ দিন, অর্থাৎ ৭ নভেম্বর দেখানো হবে শেখ রফিকুলের পরিচালনায় পুর্নেন্দু রায় পালাকারের ‘ফুলন দেবী’। এ যাত্রাপালাটি মঞ্চে উপস্থাপন করবেন শারমিন অপেরার সদস্যরা।
যাত্রা আমাদের দেশের ঐতিহ্যবাহী একটি লোকসঙ্গীত। এই উৎসবের মাধ্যমে যাত্রা শিল্পকে জনপ্রিয় করার পাশাপাশি নতুন প্রজন্মের কাছে এই শিল্পকে তুলে ধরা হবে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই উৎসবে সবাইকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে।