Chitralee will take you closer to the world of entertainment.
Chitralee will take you closer to the world of entertainment.
শনিবার, অক্টোবর ৪, ২০২৫

টপচার্টে এআই ব্যান্ড ‘দ্য ভেলভেট সানডাউন’

টপচার্টে এআই ব্যান্ড ‘দ্য ভেলভেট সানডাউন’

‘দ্য ভেলভেট সানডাউন’ নামে একটি ব্যান্ড দুই মাস আগে যাত্রা শুরু করে। ব্যান্ডটির প্রথম অ্যালবাম ‘ফ্লোটিং অন ইকোজ’ প্রকাশ পায় গত ৫ জুন। দ্রুতই ইউটিউব, স্পটিফাইসহ একাধিক স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মের টপ চার্টে উঠে আসে রক ব্যান্ডটির গান। শ্রোতারা এটিকে নতুন ব্যান্ড হিসেবেই ভেবে নিয়েছিলেন কিন্তু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের ছবি নিয়ে শুরু হয় সন্দেহ। পরে জানা যায়, পুরো ব্যান্ডটিই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দিয়ে তৈরি!  টপচার্টে এআই ব্যান্ড ‘দ্য ভেলভেট সানডাউন’ । সংগীত জগতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এই ব্যান্ড তৈরি করেছে নতুন আলোড়ন, বদলে দিচ্ছে সঙ্গীতের ধারা ও শ্রোতাদের অভিজ্ঞতা।

অ্যালবামের গান ‘ডাস্ট অন দ্য উইন্ড’ গত ২৯ জুন থেকে ১ জুলাই পর্যন্ত যুক্তরাজ্য, নরওয়ে ও সুইডেনে স্পটিফাইয়ের দৈনিক ‘ভাইরাল ৫০’ চার্টে শীর্ষে ছিল। দ্য ভেলভেট সানডাউন স্পটিফাইয়ে নিজেদের পরিচিতিতে লিখেছে, ‘ব্যান্ডের সব চরিত্র, গল্প, গান, কণ্ঠ ও কথা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি। আমরা প্রযুক্তিকে একটি সৃজনশীল যন্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছি’।

সংগীতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার যে গতিতে বাড়ছে, ভবিষ্যতের জন্য তা অশনিসংকেত, বলছে ইন্টারন্যাশনাল কনফেডারেশন অব সোসাইটিজ অব অথরস অ্যান্ড কম্পোজার্স (সিআইএসএসি)। লেখক ও সুরকারদের অধিকার রক্ষার জন্য কাজ করা আন্তর্জাতিক এ সংস্থার সর্বশেষ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যদি এই গতিতে সংগীত তৈরিতে ব্যবহৃত হতে থাকে, তবে চার বছরের মধ্যে বিশ্বজুড়ে গান রচয়িতা ও সুরকারদের আয় ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। বিশ্বজুড়ে প্রায় ৫০ লাখ সংগীত কারিগরের প্রতিনিধিত্বকারী এ সংস্থা মনে করছে, এআই যদি শিল্পীর জায়গা দখল করে নেয়, তাহলে মূল শিল্পীর স্বত্ব, রয়্যালটি ও কর্মসংস্থানের ওপর সরাসরি প্রভাব পড়বে।

রেকর্ড লেবেলগুলোর প্রতিনিধিত্বকারী প্রধান সংগঠন আন্তর্জাতিক ফোনোগ্রাফিক ইন্ডাস্ট্রি ফেডারেশনের (আইএফপিআই) প্রধান আইন কর্মকর্তা লরি রিচার্ড একটি নিবন্ধে বলেন, কোনো ধরনের অনুমতি বা লাইসেন্স ছাড়া এআই মডেলকে সাউন্ড রেকর্ডিং দিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া অন্যায় ও অনৈতিক।

সংগীতে এআই (AI) ব্যবহার

লরি রিচার্ড মনে করেন, মানব শিল্পীরাই নতুন সংগীত তৈরির চাহিদা পূরণে যথেষ্ট দক্ষ। তবে প্রযুক্তিকে উপেক্ষা করাও বাস্তবসম্মত হবে না। তাই সংগীতে এআই ব্যবহারের আগে সঠিক লাইসেন্সিং ব্যবস্থা ও স্বচ্ছ নীতিমালা নিশ্চিত করাই জরুরি।

স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ডিজার দ্য ভেলভেট সানডাউন ব্যান্ডের গানের পাশে প্ল্যাটফর্মটি একটি সতর্কবার্তা জুড়ে দিয়েছে। যেখানে লেখা হয়েছে, ‘এই অ্যালবামের কিছু গান কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে তৈরি হতে পারে’। ডিজার জানিয়েছে, ২০২৫ সালের এপ্রিলেই প্ল্যাটফর্মটিতে প্রতিদিন প্রায় ২০ হাজার এআইনির্ভর গান আপলোড হয়েছে, যা পুরো প্ল্যাটফর্মের ১৮ শতাংশ। জানুয়ারিতে এই হার ছিল মাত্র ১০ শতাংশ।

১৫ জুলাই থেকে ইউটিউব ঘোষণা দিয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দিয়ে তৈরি যেকোনো কনটেন্ট থেকে সব ধরনের আয়, যেমন বিজ্ঞাপনসহ মনিটাইজেশন সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হবে।

বাংলাদেশের সংগীতশিল্পীরাও এ নিয়ে চিন্তিত। ওয়ারফেজ ব্যান্ডের দলপ্রধান ও ড্রামার শেখ মনিরুল টিপু বলেন, যেসব তথ্য সামনে এসেছে, তা যদি সত্যি হয়, তবে বলব, এটা বেশ অ্যালার্মিং (আশঙ্কাজনক)। সৃজনশীল কাজগুলোও যদি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার হাতে চলে যায়, তবে বিশ্বব্যাপী সংগীতের একটা বড় অংশ কাজ হারাবে। তবে টিপু মনে করেন, প্রযুক্তিকে অস্বীকার করেও সামনে এগোনো যাবে না। তাই এটাকে কীভাবে কাজে লাগিয়ে সংগীতশিল্পীরা উপকৃত হবেন, সেদিকে কাজ করতে হবে।

Share this article
Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Read next

কোনো মেয়ে যেন আমার মতো ভুল না করে- গুলতেকিন খান

হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী গুলতেকিন খান প্রখ্যাত লেখক হুমায়ূন আহমেদের প্রথম ও সাবেক স্ত্রী গুলতেকিন খান আজ বিকালে…

ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত ইলিয়াস কাঞ্চন

ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত দেশের এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা ও নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস কাঞ্চন…
0
Share