অভিনেত্রী কেয়া পায়েলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তৌহিদ আফ্রিদির, এমনটাই জানালেন আলোচিত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদির বন্ধু রাহী। একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই কথা বলেন।
রাহী বলেন, ‘আমি শুনেছি পায়েল আপুর সঙ্গে তৌহিদ আফ্রিদির সম্পর্ক ছিল। আমি অনেক আগেই এটা শুনেছিলাম এটুকুই।
এছাড়াও অভিনেত্রী দিঘীর সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন শোনা যেত আফ্রিদির। তাদের ছিল দারুণ সখ্যতা। বার বার ‘বন্ধুত্ব’ বলে এড়িয়ে যেতেন তিনি। জানা যায়, অভিনেত্রী কেয়া পায়েলের সঙ্গেও প্রেম ছিল আফ্রিদির।
পরে রিসা নামের এক তরুণীকে বিয়ে করেন আফ্রিদি। গ্রেপ্তারের দিন রাতে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, আটকের সময় আফ্রিদি বলছেন, তার স্ত্রী ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। গত বছরের নভেম্বর মাসে বিয়ে করেন তিনি।
গ্রেপ্তারের পরের দিন তৌহিদ আফ্রিদিকে আদালতে তোলা হয়। সেখানে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রোসিকিউটর মুহাম্মদ শামসুদ্দোহা সুমন বলেন, ‘আসামি তৌহিদ লাইভে এসে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগকে আন্দোলনকারীদের নারকীয় হত্যা করতে উৎসাহিত করেন। তার বিরুদ্ধে যথাযথ তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়।’
তার কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ডিভাইসে অবশ্যই ভয়ংকর তথ্য-প্রমাণ আছে। এগুলো ফরেনসিক পরীক্ষা করলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ষড়যন্ত্র, কার কী ভূমিকা এবং আন্দোলন দমনে কী ধরনের যোগসাজশ ছিল তা জানা যাবে বলেও জানান তিনি।
অভিযোগ আছে, তৌহিদ আফ্রিদি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আন্দোলনরত ছাত্রদের জোরপূর্বক নগ্ন ভিডিও ধারণ করে রাখতেন তাদেরকে পরবর্তীতে আবারো হেনস্তা করার জন্য।