বর্তমানে এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কেবল সাধারণ জনগণ-ই নয় শঙ্কায় থাকেন তারকারাও। তারই মধ্যে একজন সংগীতশিল্পী কুমার শানু। সম্প্রতি এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির ব্যবহারের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন তিনি।
সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন কুমার শানু। সেখানে অনেকগুলো কনসার্ট ছিল এই গায়কের। কিছুদিন আগেই দেশে ফিরেছেন তিনি। এসেই গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকালে এআই নিয়ে মুখ খুললেন তিনি।
কুমার শানুর গান যে খুবই জনপ্রিয় তা তো বলাই বাহুল্য, বিশেষ করে গায়কের কণ্ঠস্বর। তাই নানা ক্ষেত্রে অনেকেই তাকে নকল করেন গান করেন। আর বড় মাপের শিল্পীদের অনুকরণ করে গান গাওয়ার চল বহুদিন থেকেই। কিন্তু বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে কুমার শানুর গানের ফেক সংস্করণ ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। গানের নতুন কথায়, নতুন সুরে শোনা যাচ্ছে এই গায়কের গান। যা কখনোই গাননি এই শিল্পী।
তাই তো শঙ্কা প্রকাশ করে ভারতীয় গণমাধ্যমকে গায়ক জানিয়েছেন, ‘প্রযুক্তির দুনিয়ায় এখন রাজ করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা- এআই প্রযুক্তি। যে কোনো গায়কের গলা এটির মাধ্যমে হুবহু নকল করা যাচ্ছে। কিন্তু আমার মনে হয় না এই কাজটা সঠিক হচ্ছে। কারণ এই ধরনের পদ্ধতির মাধ্যমে শিল্পীদের নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করা সংকটজনক হয়ে উঠবে। এআই অত্যন্ত বিপজ্জনক। আমার উচিত এ নিয়ে সবার আগে আদালতে যাওয়া।’
এআই ব্যবহারে নির্মাতারা এখনও পুরোনো জনপ্রিয় গানের রিমেক তৈরি করছেন। এই প্রসঙ্গে শানু আর বলেন, ‘আমি জানি না কেন প্রযোজক এবং পরিচালকরা সুরকে উপেক্ষা করে, অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করে গান বানাচ্ছেন। তারপর সেই সব গান শ্রোতারদের উপর জোর করে চাপিয়ে দিচ্ছেন। এটা ঠিক হচ্ছে না। গানের সুরের একটা মান ছিল, কিন্তু এখন সেটাকে নষ্ট করতেই সবাই ব্যস্ত। আর পুরানো গানের রিমেক যদি বলেন, তাহলে যে সব পুরনো শিল্পীরা এখনও কাজ করছেন, তাদের গান তাদেরকে দিয়েই গাওয়ানো হচ্ছে না কেন?’
এআইয়ের মাধ্যমে রীতিমতো তারকাদের চেহারা, চালচলন থেকে শুরু করে কণ্ঠ-সুর পর্যন্ত নকল করা সম্ভব। বেশ কিছুদিন ধরে শোবিজ অঙ্গনে ডিপফেক বেড়েছে এই প্রযুক্তির কারণে। ব্যক্তিত্বের অধিকার রক্ষায় এরই মধ্যে আইনি পদক্ষেপ নিয়েছেন অমিতাভ বচ্চন, অনিল কাপুর, রাশমিকা মান্দানা ও জ্যাকি শ্রফের মতো তারকারা।