গেল ৩০ জুলাই, ক্যানসারের সাথে দীর্ঘ যুদ্ধের শেষে হার মেনে পরপাড়ে পাড়ি জমিয়েছেন দেশের জনপ্রিয় টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাতা ও সংগীতশিল্পী হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল। চোখের সামনে দেখা হাসিখুশি মানুষটাকে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে প্রথমে হাসপাতালের লাইফ সাপোর্টে এবং পরে মসজিদের খাটিয়ায় দেখার শোক মেনে নিতে পারছেন না সংগীতশিল্পী জুয়েলের সহকর্মী-বন্ধুরা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় নন্দিত কণ্ঠশিল্পী ফাহমিদা নবী কান্না লিখেছেন, ‘চেপে রেখে বলি, ওপারে ভালো থাকো তোমরা, আমাদেরও যেতে হবে ফিরে, কেউ আগে কেউ পরে মুখ বুজে নিরব ভাষা নিও বুঝে শিল্প অঙ্গন বড় ফাঁকা ফাঁকা, শব্দহীন! নীল বেদনার মতো আকন্ঠ যেন হে গুণী শিল্পীরা চির বিদায়’
সংগীতশিল্পী ও অভিনেতা পার্থ বড়ুয়া গায়ক জুয়েলকে নিয়ে দুটি পোস্ট করেন, একটিতে কেবল লেখেন, এবার, জুয়েল তার পর আরও একটি পোস্টে তিনি লেখেন, শাফিন ভাই আর জুয়েল পর পর দুটা জানাজা তারপর বিদায়। এটা ঘটবে কখনো আশা করিনি। মানতেই পারছি না।’
শোকে কাতর সংগীতশিল্পী বাপ্পা মজুমদার কেবল একটি কার্ড প্রকাশ করে লেখেন হ্যাশট্যাগ হাসান আবিদ রেজা জুয়েল।
জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত গীতিকার কবির বকুলের ভাষ্য, ‘স্মৃতির দুয়ার খুলে আজ জুয়েলকে আহ্বান করি, আপনার গান দিয়েই ফিরতি পথে ফিরে আসুন বারবার চিলেকোঠার এক দুপুরে, কোনো এক বিকেলে কিংবা কুয়াশা প্রহরে।’
সহকর্মীদের কাছে সংগীতশিল্পী জুয়েল ছিলেন অত্যন্ত ক্রিয়েটিভ একজন মানুষ। তার মুখে কেউ কোনোদিন নেগেটিভ কোনও কথা শোনেননি। হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল ছিলেন দেশের সংগীত জগতের এক অমূল্য সম্পদ।