মুক্তি পেয়েছে অর্জুন কাপুর অভিনীত সিনেমা ‘সিংঘাম এগেইন’। যেখানে তিনি ধরা দিয়েছেন খল অভিনেতা হিসেবে। এদিকে প্রেক্ষাগৃহে এক সিনেমা মুক্তির মাঝেই আরও একটি রেকর্ড গড়ে তিনি পরিণত হয়েছেন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। তবে ‘হিট’ সিনেমার কারণে নয়, ‘ফ্লপ’ সিনেমার কারণেই রেকর্ড গড়লেন তিনি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের তথ্যানুযায়ী, বক্স অফিসে ১ লাখ টাকাও কামাতে পারেনি ২০২৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত অর্জুনের একটি সিনেমা। যেখানে অর্জুনের বিপরীতে অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী ভূমি পেদনেকর। ছবির নাম ‘দ্য লেডি কিলার’।
অর্জুন- ভূমির সিনেমাটি ২০২৪ সালের অক্টোবরেও খরচের ০০.০১% টাকাও ঘরে তুলতে পারেনি। এই ছবি নির্মাণ করা হয়েছিল ৪৫ কোটি টাকা বাজেটে। অথচ বক্স অফিসে ছবিটির আয় ছিল মাত্র ৬০ হাজার টাকা। ০০.০১% টাকাও লাভ না হওয়ায় এখনও পর্যন্ত ভারতের সবচেয়ে বড় ফ্লপ সিনেমার তকমা পেয়েছে ‘দ্য লেডি কিলার’।
আরও জানা গেছে, অর্জুন ও ভূমি অভিনীত সিনেমাটি তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল ভূষণ কুমারের টি-সিরিজের ব্যানারে। ২০২৩ সালে বেশ কয়েকটি দৃশ্য ফের শ্যুট করানোর জন্য এ ছবির বাজেট ছাড়িয়ে দাঁড়িয়েছিল ৪৫ কোটি টাকায়। কিন্তু মুক্তির পর দেখা যায়, প্রথম দিনে ভারতের সব প্রেক্ষাগৃহ মিলিয়ে মাত্র ২৯৩টি টিকিট বিক্রি হয় এই ছবির।
‘দ্য লেডি কিলার’ ব্যর্থ হওয়ার পেছনে একটি রিপোর্টে বলা হয়, এটি অসম্পূর্ণই মুক্তি পেয়েছিল। ক্লাইম্যাক্সটি নাকি পুরোপুরি শ্যুট করা হয়নি। ছবির পরিচালক অজয় বহল একটি সাক্ষাৎকারে এই দাবিকে সমর্থনও করেছিলেন। তবে পরবর্তীতে তিনি নিজের কথারই দ্বিমত পোষণ করেন। এদিকে ট্রেড ইনসাইডারদের মতে, ২০২৩ সালের নভেম্বরে ভারতের কিছু প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি রিলিজ করার পর নির্মাতারা ডিসেম্বরে স্ট্রিমিং রিলিজের জন্য ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্সের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন। একারণে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে চলচ্চিত্রটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির প্রয়োজন ছিল। কেননা, তখন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দিতে ব্যর্থ হলে স্ট্রিমিং চুক্তিটি অবৈধ হয়ে যেত।
ফলে কাজ অসমাপ্ত রেখেই নামেমাত্র রিলিজ দেওয়া হয়েছিল ‘দ্য লেডি কিলার’ সিনেমার। ওটিটি রিলিজটি সুরক্ষিত করতে কোনো প্রচার ছাড়াই মুক্তি দেওয়া হয়েছিল এটি। ট্রেলার রিলিজ করা ছাড়া এ ছবির কোনো প্রচার কাজই করা হয়নি। অতঃপর চলচ্চিত্রটি মুক্তি পাওয়াযর পর বক্স অফিসে ভরাডুবি খায়। তাই নেটফ্লিক্সও সরে দাঁড়ায় এবং স্ট্রিমিং রিলিজের চুক্তিও বাতিল করা হয়।
ফলশ্রুতিতে, ‘দ্য লেডি কিলার’ ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিনামূল্যেই প্রকাশ করা হয় ইউটিউবে। এখানেও ছবিটির মন্তব্যের ঘরে বেশিরভাগ নেতিবাচক মন্তব্যই দেখা যাচ্ছে।