ভিকারুননিসা অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে ভিএনএসসি পরিবার মিলে দেখলো হৃদি হক নির্মিত সিনেমা ‘১৯৭১ সেই সব দিন’।
স্কুলজীবন শেষ হয়েছে বেশ আগেই। কিন্তু নিজের স্কুলের এক সহপাঠী যখন হাত দিলো সিনেমা নির্মাণের কাজে, তখন কি আর আয়োজনের সহিত সিনেমাটি না দেখে থাকা যায়? এরই প্রমাণ করলেন ভিএনএসসি পরিবার।
হৃদি হক ছিলেন ভিকারুননিসা নুন স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী। তাইতো তার নির্মিত সিনেমা ‘১৯৭১ সেই সব দিন’ দেখার আয়োজন করলো ভিকারুননিসা অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন। ফলশ্রুতিতে, পুরোনো সহপাঠীরা হলেন সবাই একত্রিত। সাথে ছিলেন মমতাময়ী শিক্ষিকারাও। স্টার সিনেপ্লেক্সে আগস্ট মাসের শেষদিন তারা ছবি দেখার পাশাপাশি স্মৃতিচারণ করলেন ভিকারুন্নিসার দিলগুলো।
সেদিন থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পাতায় ঘুরে বেড়াতে দেখা যাচ্ছে একেকজন ভিএনএসসি অ্যালামনাইয়ের শেয়ার করা পোস্ট। পাশাপাশি হৃদির নিখুঁত ছবি নির্মাণ দক্ষতার কথা তো আছেই।
একজন অ্যালামনাই তার পোস্টে লিখেন, “অসাধারন একটা চলচ্চিত্র। রোকসানা শামীম আপা বলছিলেন, আমরা সে সময়টা দেখেছি, কিন্তু হৃদি তো দেখেনি! ও কিভাবে সেই সময়টাকে এভাবে ফুটিয়ে তুললো! আসলেই, আমার মনে হচ্ছিলো বাবা-মায়ের কাছে শোনা ঘটনাগুলো, চরিত্রগুলোকে যেন পর্দায় দেখতে পাচ্ছিলাম। কাহিনী, সেট, কস্টিউম, শট ডিজাইন, মিউজিক, ক্যামেরার কাজ, অভিনয়, সবটা মিলে সুন্দর! হ্যাটস অফ হৃদি এবং তার পুরো টিমকে। তুমি আমাদের গর্বিত করেছো।“
অপরদিকে, অন্য একজন অ্যালামনাই তার ফেসবুকের পোস্টে লিখেন, “পরিচালক হৃদি হক যখন হাসাতে চেয়েছেন হাসিয়েছেন, যখন কাঁদাতে চেয়েছেন চোয়াল আপনা-আপনিই শক্ত হয়ে যাবে, মা সমান শিক্ষকের পাশে বসে রাজাকারদের খাঁটি বাংলা গালি দিয়ে মুখ লুকাতে সিটে ডুবে যাবেন। পরিচালক হিসাবে এইখানেই তিনি শতভাগ সফল। সফল প্রতিটা চরিত্রে অভিনয় করা প্রত্যেকেই।“
সবার পোস্ট দেখে বোঝাই যাচ্ছে, তারা পর্দায় ‘১৯৭১ সেই সব দিন’ সিনেমা খুব ভালভাবেই উপভোগ করেছেন। আরেকজন অ্যালামনাইয়ের সিনেমার সাপোর্টে নেওয়া এমন উদ্যোগও প্রশংসা কুড়াচ্ছে অনেকেরই।