বুসানে প্রথমবারের মত ‘বাংলাদেশ নাইট’ উদযাপিত হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানের লাভি ডি অ্যাটলান হোটেলের গ্যাটসবি রুফটপে ৯ অক্টোবর বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের সাফল্যের জন্য আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি ।
চরকির নেতৃত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানটিতে বক্তব্য রাখেন বুসান চলচ্চিত্র উৎসবের পরিচালক ন্যাম ডং চুল। নিজের বক্তব্যে ২৮তম বুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের দুইটি বিভাগে তিনটি ও এশিয়ান প্রজেক্ট মার্কেটে বাংলাদেশের একটি চলচ্চিত্র জায়গা করে নেওয়ার জন্য অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের শেষ ১০-১২ বছরের সফল যাত্রার জন্য নিজের উচ্ছ্বাসও প্রকাশ করেন তিনি।
চরকি’র সিইও রেদওয়ান রনির সঞ্চালনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানটিতে ন্যাম ডং চুলের বক্তব্যের আগে একটি ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে এইবারের আসরে অংশ নেওয়া বাংলাদেশি চলচ্চিত্রগুলোর পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নেওয়া বাংলাদেশি নির্মাতাদের কৃতিত্বের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়। এসময় বাংলাদেশের প্রখ্যাত নির্মাতা তারেক মাসুদ ( মাটির ময়না) , গোলাম রব্বানী বিপ্লব (স্বপ্নডানায়), মোস্তফা সরয়ার ফারুকী (থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার ,টেলিভিশন), আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ (রেহানা মরিয়ম নূর), নুহাশ হুমায়ূন (মশারি ও পেটকাটা ষ),রুবাইয়াত হোসেন, কামার আহমাদ সাইমন, আবু শাহেদ ইমন, বিজন ইমতিয়াজ ও আরিফুর রহমানের মত নির্মাতাদের সাফল্যের কথা তুলে ধরা হয়।
আয়োজনটিতে উপস্থিত ছিলেন এইবারের উৎসবে অংশ নেওয়া ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’র পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, ছবিটির গল্পকার-চিত্রনাট্যকার ও মুখ্য অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা, ‘বলী’ সিনেমার পরিচালক ইকবাল হোসাইন চৌধুরী, প্রযোজক পিপলু আর খান ও নাসির উদ্দিন খান, ‘আগন্তুক’ ছবির পরিচালক বিপ্লব সরকার, অভিনেত্রী সাহানা রহমান সুমি, শিশুশিল্পী সালমান রহমান রাফসান ও প্রযোজক তাজুল হক, এশিয়ান প্রজেক্ট মার্কেটে স্থান পাওয়া ‘সুরাইয়া’র পরিচালক রবিউল আলম রবি, লেখক শিবব্রত বর্মণ, প্রযোজক ফজলে হাসান শিশির এবং বুসান এশিয়ান ফিল্ম অ্যাকাডেমির ফেলো হিসেবে আসা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘মশারি’র চিত্রগ্রাহক এজাজ মেহেদি। এছাড়াও বাংলাদেশের বাইরের অতিথিদের মধ্যে ছিলেন বুসান চলচ্চিত্র উৎসবের প্রোগ্রামার পার্ক সুন ইয়াং, ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ ছবির সহ-প্রযোজক জেরেমি চুয়া, ভ্যারাইটির এশিয়া ব্যুরো চিফ পেট্রিক ফেটার, ভ্যারাইটির আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি নমন রামাচন্দ্রন, সিডনি ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ডিরেক্টর নাশেন মুডলি , ফ্রিবুক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ডিরেক্টর থিওরি জবিন , ভেসুল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ডিরেক্টর মার্টিন থিওরানে ও জানে মার্ক থিওরানে এবং টোকিও ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের সিনিওর প্রোগ্রামার কেন জি।
উল্লেখ্য, ৮ অক্টোবর বুসান সিনেমা সেন্টারের সিনেমাথেকে চরকির ‘মিনিস্ট্রি অব লাভ’ প্রকল্পের অংশ ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’- এর ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার অনুষ্ঠিত হয়। অপরদিকে বুসান সিনেমা সেন্টারের সিনেমা টুতে ৭ অক্টোবর সকালে ‘আগন্তুক’ এবং বিকালে ‘বলী’র ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার অনুষ্ঠিত হয়।৪ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই চলচ্চিত্র উৎসবটির পর্দা ১৩ অক্টোবর নামার কথা রয়েছে। সমাপনী আয়োজনেই সিনেমাপ্রেমীরা জানতে পারবে জিসোক এবং নিউ কারেন্টস বিভাগের বিজয়ীর নাম।