কামব্যাক হোক বা ছোট রোলে হোক, যদি তা পায় সাফল্য- তবে তো মধুরই বটে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে এমনই এক কামব্যাক নিয়ে ভারত তো বটেই, তোলপাড় এই বাংলাদেশেও। এই কামব্যাকটি হলো বলিউড অভিনেতা ববি দেওলের কামব্যাক।
চিত্রালীর এই ফিচারে ববি দেওলের কামব্যাক নিয়ে তো বটেই, স্মরণ করা হবে আরও কয়েকটি দারুণ কামব্যাক। যে ফিরে আসার গল্প বারবার মানুষকে একধাপ এগিয়ে দেয়।
মনে আছে – ‘র্যাহ না হ্যা তেরে দিলমে’ সিনেমাটি? আর মাধবান অর্থ্যাৎ ‘ম্যাডি’র অবাধ্য প্রেম দিয়া মির্জার জন্য। সেখানে ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন সাইফ আলী খান। যখন তার একক – হিরোটাইপ মুভিগুলো মার খাচ্ছে বক্স অফিসে – তখনই যেন তার সেই দুর্দান্ত সুঠাম দেহ- অভিনয়ের ফিরে আসা। এরপর থেকে সেই রাজত্ব চলছে এখনও।
এবার একটু দেশের মাটি ঘুরে আসি। অভিনেতা ইন্তেখাব দিনার যথেষ্ট প্রতিভাবান হওয়ার পরেও কেমন যেন ব্যাটে বলে ছক্কা পেটাতে পারছিলেন না। কাজ যখন শূন্য প্রায়, তখনই ওয়েব সিরিজে ফিরে এলেন এই অভিনেতা দ্বিগুন গতিতে। ‘কারাগার’ ও ‘ঊনলৌকিক’ সিরিজে অভিনয় করলেন। পেলেন পুরস্কার।
আবার গায়ক হাবীবের কামব্যাকটিও ভুলে যাবার মতন নয়। ’দিন গেল তোমারও পথ চাহিয়া’ বা ‘ভালোবাসবো বাসবো রে বন্ধু’ গানের জনপ্রিয় গায়ক হাবীবের সাফল্যের খরা যেন যাচ্ছিলই না। অবশেষে মুজার সাথে জুটি বেঁধে ‘বেনি খুলে এলো চুলে’ দিয়ে ডান্সফ্লোর মাতিয়ে দিলেন একেবারে।
একই ভাবে, সংগীতশিল্পী জেফার রহমান কিন্তু কোনও ভাবেই তালিকার উপরে আসতে পারছিলেন না। এক ‘ঝুমকা’ দিয়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষে আছেন এখন জেফার।
বলিউডের আরেক নায়কের গল্প এবার বলবো । যাকে সবাই চিনি জানি। কিন্তু তার স্ট্রাগলের কামব্যাক নিয়ে গল্প একটু কমই হয়। হয়তো বা তিনি অমিতাভ বচ্চনের সন্তান বলেই। বলছি অভিষেক বচ্চনের কথা। অ্যাকশন বা কমেডি কোন কিছুতেই যখন ভাগ্য হাসছিল না, তখন তিনি একটু পজ দিলেন। ফিরে এলেন ‘লুডু’, ‘দসভি’ এবং ‘ঘুমার’ সিনেমা দিয়ে। ভিন্ন মাত্রার চরিত্র দিয়ে। যেখানে হিরোইজম হয়তো নেই কিন্তু আছে অভিনয়ের সুযোগ।
একইভাবে মাত্র ১৫ মিনিটের চরিত্রে হিরোর লেবাস ছেড়ে ‘অ্যানিম্যাল’ সিনেমায় অভিনয় করে মাৎ করলেন ববি দেওল। তার নাচ- অ্যাকশন হয়ে গেল সোশ্যাল মিডিয়ার ট্রেন্ডি রিল। অথচ তাকে একটা সময় চাকরি খুঁজতে হয়েছে। কাজের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হয়েছে। একারণেই সাফল্যের পর, তিনি অঝোরে কেঁদেছেন।
ববি, অভিষেক বা হাবীব, জেফার- সকলের ফিরে আসাই দারুণ কারণ তারা একটা সুযোগও বৃথা যেতে দেননি। যেমনটি বলেছেন অমিতাভ বচ্চন। তিনি বলেন- সুযোগ যত ছোটই হোক তা কাজে লাগিয়ে সর্বোচ্চ লাভটা হাতিয়ে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
এভাবেই বিন্দু বিন্দুতে সিন্ধু হয়। এভাবেই নুড়িকণায় গড়ে পাহাড়।