জুলাই কন্যার খেতাব পেলেন কণ্ঠশিল্পী খেয়া
গত বছরের জুলাই আন্দোলনে শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণের সঙ্গে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছিলেন কণ্ঠশিল্পী মালিহা তাবাসসুম খেয়া। রাজপথে দাঁড়িয়ে, গানের মাধ্যমে তিনি প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন স্বৈরাচার ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে। তাঁর সাহসিকতা এবং দৃঢ় অবস্থানের কারণে তাকে একাধিকবার পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ করতে হয়েছে। তবে সব চ্যালেঞ্জের মাঝেও আন্দোলন থেকে তিনি এক মুহূর্তও সরে দাঁড়াননি। জুলাই কন্যার খেতাব পেলেন কণ্ঠশিল্পী খেয়া । গত বছরের আন্দোলনে তার সাহসিকতা ও অবদানকে স্বীকৃতি হিসেবে এই সম্মান প্রদান করা হয়েছে।
এই সাহসিকতা ও অটল মানসিকতার স্বীকৃতি হিসেবে এবার ‘জুলাই কন্যা’ খেতাব দিয়ে সম্মানিত করা হয়েছে কণ্ঠশিল্পী খেয়াকে। পুরস্কারটি প্রদান করা হয় ৮ আগস্ট ঢাকার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশে, মৎস্য ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে। পুরস্কার গ্রহণের সময় খেয়া বলেন, “এই স্বীকৃতি আমাকে আরও অনুপ্রাণিত করেছে। ভবিষ্যতেও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকার চেষ্টা চালিয়ে যাব।”
কণ্ঠশিল্পী খেয়া কেবল অভিনয় বা গানের জন্য নয়, বরং তার সামাজিক দায়বদ্ধতার জন্যও পরিচিত। তিনি বিশ্বাস করেন, একজন শিল্পীর দায়িত্ব শুধু মঞ্চে সীমাবদ্ধ থাকে না, বরং সমাজের প্রতি সচেতনতা তৈরি করাও অন্তর্ভুক্ত। তার এই মনোভাব তাকে অন্যদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস বানিয়েছে।
বর্তমানে খেয়া রকব্যান্ড ‘রেবেল’ এর অন্যতম প্রধান কণ্ঠশিল্পী। ব্যান্ডের সঙ্গে তার কাজ শুধুমাত্র সঙ্গীত জগতে সীমাবদ্ধ নয়, বরং তরুণ প্রজন্মকে সমাজ সচেতন করার দিকেও নজর দেয়। তার সাহসিকতা, দৃঢ় প্রতিশ্রুতি এবং সৃজনশীলতা আজ নতুন প্রজন্মের জন্য একটি অনুপ্রেরণার উদাহরণ।
‘জুলাই কন্যা’ খেতাব প্রমাণ করে যে সাহস, ন্যায়বোধ এবং প্রতিশ্রুতির সংমিশ্রণ সত্যিই স্বীকৃতি পায়। খেয়া তার কাজ এবং সামাজিক সচেতনতার মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন যে একজন শিল্পী শুধু বিনোদন জগতেই নয়, সমাজের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।
এই পুরস্কার কেবল তার ব্যক্তিগত অর্জন নয়, বরং বাংলাদেশের শিল্প-সংস্কৃতি এবং তরুণ সমাজের জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ।