রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ১৪ নভেম্বর আসর বসেছিল জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২২-এর। পুরস্কার প্রদানের এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আসরটির উপস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন অভিনয়শিল্পী ফেরদৌস আহমেদ ও পূর্ণিমা। মজার ব্যাপার হলো- প্রধানমন্ত্রীর সামনে আসতেই এবারই নাকি প্রথম স্ক্রিপ্ট ভুলে যাচ্ছিলেন ফেরদৌস!
সুদীর্ঘ ক্যারিয়ারে অনেক অনুষ্ঠানেই জুটি বেঁধে উপস্থাপনা করে দর্শকদের মনোরঞ্জন করেছেন ফেরদৌস- পূর্ণিমা। কনফিডেন্সের কখনো ছিল না কমতি। কিন্তু পূর্ণিমার ভাষ্যমতে, এবারের মত নার্ভাস ফেরদৌসকে তিনি আগে কখনো দেখেননি। কিছুটা হাস্যরসিকতার মাধ্যমেই মঞ্চে দাঁড়িয়ে আসরে উপস্থিত প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে ব্যাপারটি জানান এই চিত্রনায়িকা।
ব্যাক স্টেজের কাহিনী জানাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমতি নিয়ে পূর্ণিমা বলেন, “আমি ফেরদৌসের সাথে প্রায় অনেকগুলো প্রোগ্রামে উপস্থাপনা করেছি। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারেও করেছি। আজকে এই প্রথম আমি তাকে দেখলাম, যতবারই আপনার সামনে আসছে, কথা এবং স্ক্রিপ্ট ভুলে যাচ্ছে, এবং সে যতবারই যাচ্ছে একটা করে পানির বোতল শেষ করছে।” এই কথা জানিয়ে হেসে ওঠেন পূর্ণিমা। তার সাথে সাথে হাসতে দেখা গেছে দর্শক গ্যালারিতে বসে থাকা প্রধানমন্ত্রীকেও। সেই সময় প্রধানমন্ত্রীর পাশেই বসেছিলেন তার ছোট বোন শেখ রেহানা।
পূর্ণিমার কথা শুনে মঞ্চে উপস্থিত ফেরদৌস বলেন, “আমি আসলে আশা করিনি যে দুই বোনকে একসাথে দেখবো। একজনকে দেখে দেখে অভ্যস্ত, সাথে আরেকজনকে দেখে ডাবল নার্ভাস হয়ে গেছি আজকে।” এই পর্যায়ে পূর্ণিমা আবার বলেন, “এই জন্য ছয় বোতল পানি খেয়ে তারপর আজকে সে এখানে মঞ্চে আছে।”
ভুল স্ক্রিপ্ট হোক কিংবা সঠিক স্ক্রিপ্ট, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদানের আসরের পুরোটা সময় মঞ্চ আলোকিত করে রেখেছেন ফেরদৌস- পূর্ণিমা জুটি। অনুষ্ঠানে এবার ২৭টি ক্যাটাগরিতে ৩২টি পুরস্কার দেওয়া হয়। আসরটি আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। কিছুদিন আগেই মন্ত্রণালয়টি হতে বিজয়ীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। আর ১৪ নভেম্বর তালিকায় থাকা সেই বিজয়ীদের হাতেই পুরস্কার তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।