মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, মানহানিকর ও অশালীন শিরোনামে ভুয়া সংবাদ প্রকাশ করার জেরে গৃহকর্মী পিংকি আক্তারসহ চার গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনের ২৮ ও ৩১ ধারায় মামলা করেছিলেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের নতুন অধ্যাদেশে এই দুই ধারার অভিযোগ না থাকার ফলে আদালত পরীমনির এ মামলাটি বাতিল করে দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নূরে আলম এ আদেশ দেন। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী মো. জুয়েল।
তিনি বলেন, গত ২১ মে অন্তর্বর্তী সরকার সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করে। একই সঙ্গে নতুনভাবে ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ’ জারি করে। এ ক্ষেত্রে পিংকি আক্তারসহ চার গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে হওয়া সাইবার নিরাপত্তা আইনের ২৮ ও ৩১ ধারার মামলা করা হয়েছিল। নতুন অধ্যাদেশে এই ধারার অভিযোগ না থাকায় আদালত মামলাটি খারিজের আদেশ দেন।
এর আগে ২৩ এপ্রিল পরীমনি তাঁর গৃহপরিচারিকা পিংকি আক্তার, অনলাইন নিউজ পোর্টাল সকল খবরের স্বত্ত্বাধিকারী মোরশেদ সুমন, প্রতিদিনের বাংলাদেশ এন্টারটেইনমেন্ট, নিউজ অ্যান্ড মিডিয়া ওয়েব সাইট পিপল নিউজ এবং অনলাইন নিউজ পোর্টাল ডিজিটাল খবরকে আসামি করা মামলা করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ৫ মার্চ ‘কাদের এজেন্সির’ মাধ্যমে পরীমনি তার বাসায় বাচ্চার দেখা শোনার জন্য পিংকি আক্তারকে নিয়োগ দেন। গত ২৭ মার্চ ২০ হাজার টাকাও নেয় পিংকি আক্তার। ২ এপ্রিল পিংকি আক্তার পরীমনির বাসা থেকে চলে যান। এরপর থেকে পরীমনির বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা, বানোয়াট এবং অশ্লীল তথ্য প্রচার ও প্রকাশ করে আসছেন পিংকি আক্তার।
এরপর পিংকি বিভিন্ন গণমাধ্যমে উদ্দেশ্যমূলকভাবে সাক্ষাৎকার দেন এবং অন্যান্য আসামিরা তা ফলাও করে প্রচার করার কারণে সমাজে বিভিন্ন স্তরের মানুষের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ায়। এতে পরীমনি সমাজে হেয় প্রতিপন্ন হয়েছেন দাবি করে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন।
অবশেষে সেই মামলাটি খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।