হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল গান বাংলার চেয়ারম্যান কৌশিক হোসেন তাপসকে। এরপর তার রিমান্ড ও জামিন শুনানির তারিখ বুধবার (৬ নভেম্বর) ধার্য করেছে আদালত।
জানা গেছে, রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানায় দায়ের করা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন কেন্দ্রিক হত্যাচেষ্টা মামলায় রবিবার (৩ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে রাজধানীর উত্তরা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এরপর ৪ নভেম্বর দুপুরে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করে তাপসকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠায় তদন্তকারী কর্মকর্তা উত্তরা পূর্ব থানার সাব-ইন্সপেক্টর মো. মহিববুল্লাহ। কিন্তু শুনানির সময় তিনি আদালতে উপস্থিত হতে না পারায় শুনানির তারিখ পেছানোর জন্য আবেদন করে পুলিশ।
তাপসের বিরুদ্ধে করা মামলাটি নিয়ে আরও জানা গেছে, বাদী হয়ে এ হত্যাচেষ্টা মামলা করেছেন ইশতিয়াক মাহমুদ নামে একজন ব্যবসায়ী। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিপক্ষে থেকে গানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী ক্যাডারদের উৎসাহ দিয়েছেন তাপস। এভাবে তিনি ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিপক্ষে কাজ করেছেন। এছাড়াও ২০২৪ সালের ১৮ জুলাই আন্দোলন চলাকালে আসামিদের ছোড়া গুলিতে বাদীর পেটে গুলি লাগে। এতে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় বাদীকে। রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে অপারেশনের মাধ্যমে বাদীর পেটের গুলি বের করা হয়।
অতঃপর ২৯ সেপ্টেম্বর ইশতিয়াক মাহমুদ বাদী হয়ে উত্তরা পূর্ব থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামি তালিকায় তাপস ছাড়াও রয়েছেন সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ ১২৬ জন। তাপস এখানে এজাহারভুক্ত ৯ নম্বর আসামি।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের সংগীত জগতের পরিচিত মুখ হওয়ার পাশাপাশি তাপস আওয়ামী সংস্কৃতি অঙ্গনেরও আস্থাভাজন হিসেবে বেশ পরিচিত ছিলেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ৪ আগস্ট গানবাংলা চ্যানেলের ভবন ভাঙচুর করা হয়। সেই ঘটনাটির পর দুঃখভারাক্রান্ত মনে তাপস ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘জীবনযুদ্ধে আমি এক লড়াকু সৈনিক। আমার মৃত্যু হয় রোজ। তবুও জন্ম নেই দৈনিক। আমি তাপস।’