বুধবার ২৫ জুন রাতে হঠাৎ করেই বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছেন সংগীতশিল্পী দিলশাদ নাহার কনা। তার বিবাহবিচ্ছেদের সংবাদটি প্রকাশ্যে আসার পর সংগীতপাড়ায় শুরু হয় আলোচনা। তবে আলোচনা নতুন মোড় নেয় আরেক শিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্সির একটি পোস্টের পর।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক দীর্ঘ পোস্ট দিয়ে কনা লিখেছেন, ‘আমি আপনাদের ভালোবাসার কনা। জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে-সবই আল্লাহর ইচ্ছায় ঘটে’। এরপর তিনি ব্যক্তিগত জীবনের টানাপোড়েন এবং বিচ্ছেদের সিদ্ধান্তের পেছনের ব্যাখ্যা তুলে ধরেন।
এদিকে কনার স্ট্যাটাসটি প্রকাশের ঠিক প্রায় এক ঘণ্টা পর, রাত ১২টার দিকে, ন্যান্সি তার ফেসবুক প্রোফাইলে একটি ছোট্ট স্ট্যাটাস দেন, যেখানে লেখা ছিল, ‘জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে-বিচ্ছেদ, এর সবই আল্লাহর ইচ্ছায় হয়-বাণীতে শেয়াল রাণী।’
এই বাক্য নিয়ে নেটিজেনদের মধ্যে শুরু হয় জল্পনা। কনার পোস্টের একটি বাক্য সরাসরি ব্যবহার করায় অনেকেই ধরে নেন, এই মন্তব্য পরোক্ষভাবে কনাকে উদ্দেশ্য করে করা। বিশেষ করে ‘শেয়াল রানি’ শব্দটি ঘিরে তৈরি হয় বিতর্ক, যা সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
এই ঘটনার পেছনে পুরনো একটি প্রেক্ষাপটও নতুন করে সংযোগ তৈরি করছে। গত বছরের ১৪ জুলাই ন্যান্সি একটি শেয়ালের ছবি পোস্ট করেছিলেন, যা অনেকেই মনে করেন, কনার দিকেই ইঙ্গিত ছিল। সে সময় কনার গাওয়া সুপারহিট গান ‘দুষ্টু কোকিল’ নিয়ে ব্যাপক আলোচনায় ছিলেন কনা।
এরপর থেকেই গুঞ্জন শুরু হয়-দুই জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পীর মধ্যে যেন পর্দার আড়ালে চলছে টানাপোড়েন। যদিও কনা বা ন্যান্সি কেউই প্রকাশ্যে কোনো বিরোধ স্বীকার করেননি, কিংবা একে অপরকে নিয়ে সরাসরি কিছু বলেননি।