চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা থামছেই না। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার ২৫ দিন পর মিশা-ডিপজল পরিষদ নিয়ে আদালতে চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার রিট করলে বিষয়টি নিয়ে আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বিএফডিসি।
২২ মে দুপুর থেকে এফডিসিতে কয়েক দফা মিছিল হয়েছে সাবেক সাধারণ সম্পাদক নিপুণের শাস্তির দাবিতে। এতে বেশ কয়েকজন সিনিয়র ও জুনিয়র শিল্পীদের অংশ নিতে দেখা গেছে। মিছিলে মূল দাবি ছিল, ‘শিল্প ও শিল্পীর সম্মান নষ্টকারী নির্লজ্জ বেহায়া নিপুণের শাস্তি চাই’।
মূলত ১৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ দ্বিবার্ষিক নির্বাচন। আর নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হয়েছিল ২০ এপ্রিল সকালে। এই নির্বাচনে নতুন সভাপতি নির্বাচিত হন অভিনেতা মিশা সওদাগর। আর সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল।
শিল্পী সমিতির ভোটে হেরে ডিপজল-মিশাকে মালা দিয়ে বরণ করেও নিয়েছিলেন নিপুণ। কিন্তু মালা বদলের এতদিন পর বিজয়ী পরিষদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে আদালতে রিট করেন নিপুণ। এরপর আদালত থেকে জানানো হয়, সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না অভিনেতা ডিপজল।
নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগে নিপুণের রিটের পরিপ্রেক্ষিতেই ২০ মে ডিপজলের দায়িত্ব পালনে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ। পাশাপাশি নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির ঘটনা তদন্তের জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এসব ঘটনায় মেনে নিতে পারেননি শিল্পীদের একাংশ। শিল্পী সমিতির সদস্যরা ছাড়াও নিপুণের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ মন্তব্য করেছেন পরিচালক ও প্রযোজক সমিতির বেশ কয়েকজন নেতা। সিনিয়র শিল্পীরাও কথা বলেছেন বিষয়টি নিয়ে। তাদের মধ্যে রয়েছেন অভিনেতা সোহেল রানা। তিনি বলেন, ‘গত নির্বাচনের আগ পর্যন্ত কেউ শিল্পী সমিতির অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে আদালতে যায়নি। ছোট ছোট যে সমস্যাগুলো হয়েছে, তার সমাধান শিল্পীরাই করেছে। গতবার প্রথম নিপুণ আদালতে গেছে। এবারও তাই করল।’
তিনি আরও বলেন, ‘গতবার তার (নিপুণ) সঙ্গে প্যানেলের ১১ জন ছিল। এবার তার প্যানেল থেকে নির্বাচিত হওয়া তিনজন কিন্তু ইতোমধ্যে নতুন কমিটির সঙ্গে বসে মিটিং করেছে। আগের কমিটির মতো আলাদা থাকেনি। এবার আদালতে যাওয়ার বিষয়টি অকল্পনীয়, কল্পনাতীত। শিল্পী সমিতির আদালতের দ্বারস্থ হওয়া শিল্পীদের জন্য লজ্জার।’
এবার দেখার পালা, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ও নিপুণের মধ্যকার দ্বন্দ্ব আর কতদূর গড়ায়।