যার উত্থান আছে তার পতনও আছে। আবার পতনের পর আছে সাফল্যের হাতছানি। অমিতাভ বচ্চন নিজের উচ্চতায় আর কাজের বিশালতায় ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে গেলেও, তাকেও দেখতে হয়েছে ব্যর্থতার নদী।
নায়কসুলভ চরিত্রের শেষের দিকে ‘বাড়ে মিয়া ছোটে মিয়া’, ‘সুরিয়া বানসাম’ সিনেমাসহ বিভিন্ন সিনেমা বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ার পর অমিতাভ কার্যত বেকার হয়ে পড়েন। পাশাপাশি তিনি প্রযোজনায় ব্যর্থ হন, তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ঋণগ্রস্থ হয়ে পড়ে। অমিতাভ বলেন, রোজ আমার দরজায় কোনো না কোনো ঋণশোধ করার তাগিদা দেওয়া লোক উপস্থিত থাকতো। এমন একটা অবস্থা যে বেঁচেও মরে গেছি ধরনের।
একদিন অমিতাভ তাই অফিসের সুসজ্জিত পোশাক পরে ঠিক করেন, হেরে গেলে চলবে না। তিনি চলে যান প্রতিবেশির বাসায়। যার নাম ইয়াশ চোপড়া। হ্যা ইয়াশ চোপড়াই তার সেই প্রতিবেশি যিনি সাহায্য করেছিলেন সেদিন অমিতাভকে।
অমিতাভ তাকে গিয়ে বলেন, যে কাজটি আমি আত্মবিশ্বাসের সাথে করি, তা হলো অভিনয়। এছাড়া আর কিছুই করতে পারছি না। আমার হাতে কোনো কাজ নেই। আমাকে কাজ দাও, ইয়াশ।
ইয়াশ চোপড়া একটু থেমে বলেন, আমার হাতে তোমার জন্য একটি চরিত্র আছে। ‘মোহাব্বাতে’ নামে একটি সিনেমা আছে, সেখানে গুরুর চরিত্র, তুমি করবে?
অমিতাভ সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেন। এবং ক্রমশই ফের বিগবি হয়ে ফিরে আসেন।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে ইয়াশ চোপড়াকে স্মরণ করে এই স্মৃতিচারণ করেন।