আমির খানের পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যই মানসিক রোগের শিকার বলে জানালেন তার কন্যা ইরা খান।
কিছুদিন আগে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এই স্টারকিড জানান, তার পরিবারে মানসিক রোগের ইতিহাস থাকার কারণে তিনিও মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।
ইরা আরও জানান, তিনি ক্লিনিক্যাল ডিপ্রেশনে আক্রান্ত, যা প্রত্যেক ৮-১০ মাস পর পর ফিরে আসে।
২০২২ সালের জুলাই মাসে অসুখটির জন্য মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি । তখন ওষুধ খাওয়া তো বন্ধ করেছিলেনই, ওজনও বেড়ে গিয়েছিল তার । শরীরচর্চায় তখন আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিলেন ইরা।
২০০২ সালে রীনা দত্তের সাথে ১৮ বছরের দাম্পত্যজীবনের ইতি টানেন আমির খান। অভিনেতার সাথে যখন তার প্রথম স্ত্রীর বিচ্ছেদ হয়, তখন ইরা খানের বয়স ছিল মাত্র ৫ বছর। বিচ্ছেদের ঘটনা ছোট ইরার মনে এতটাই দাগ কেটেছিল যে তিনি মনমরা হয়ে পার করে দিয়েছিলেন প্রায় দেড় বছর! এই দীর্ঘসময়ে ঠিকমত খাওয়া-দাওয়াও বন্ধ করে দিয়েছিলেন ইরা।
জীবনের একটা সময় প্রায় ১০ ঘণ্টা ঘুমিয়ে কাটাতেন ইরা। মা রীনার ভাষায় তখন বাঁচার ইচ্ছা হারিয়ে ফেলেছিলেন ইরা। উচ্চশিক্ষার জন্য একসময় নেদারল্যান্ডসে গেলেও মাঝপথেই দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন আমিরকন্যা।
মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব ভালো করেই বুঝেন ইরা, আর তাই তো অগস্তু ফাউন্ডেশন নামের এক প্রতিষ্ঠান শুরু করেছেন তিনি।
ইরার অর্গানাইজেশনটি মানসিক সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করে। এর উপদেষ্টা হিসাবে যুক্ত রয়েছেন ইরার বাবা আমির এবং মা রীনা দত্ত। প্রতিষ্ঠানটি গড়ার জন্য আর্থিকভাবে মেয়েকে সাহায্যও করেছিলেন আমির।