সোশ্যাল ইনফ্লুয়েনসার ও সংগীতশিল্পী তাসরিফ খান হঠাৎ নিজের এক খারাপ অভিজ্ঞতার কথা তুলেছেন।
১১ নভেম্বর নিজের ব্যক্তিগত সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে তরুণ এই শিল্পী লেখেন, ‘রাত ৩টা বেজে ৪ মিনিট, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে আমার সমস্ত শ্রোতাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে লেখা শুরু করছি। মাঝে মাঝে কথা বলা উচিত, কথা বলতে হয়। কুঁড়েঘর ব্যান্ডের ৮ বছরের যাত্রায় আজকের রাতের মতো বাজে অভিজ্ঞতার শিকার আমরা এর আগে হইনি।’
তাসরিফ লেখেন, ‘মূলত এই কনসার্ট এর আয়োজক ছিল মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। প্রথমে আমাদের স্টেইজ টাইম জানানো হয় ১০ তারিখ রাত ৮ টায়। শো এর আগের দিন আয়োজক রা আমাদের বলেন আমরা স্টেইজে উঠবো রাত ১১ টায়। তাদের জানানো সময় অনুযায়ী আমরা রাত ১০ টায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে এসে পৌঁছাই। এসেই শুনি উনাদের প্রোগ্রামে মিস ম্যানেজমেন্ট হচ্ছে, আমাদেরকে আরও পরে উঠানো হবে। সময় গড়াতে গড়াতে রাত ৩ টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে আমরা জানতে পারি তাদের মিস ম্যানেজমেন্ট এর জন্য আমাদের পারফর্ম করা হচ্ছে না।’
হতাশা নিয়ে শিল্পী আরও লেখেন, ‘এখানে কয়েকটা ব্যাপার ঘটল! আপনারা যে শুধু একটা ব্যান্ড কে ৫ ঘণ্টা অপেক্ষা করিয়ে পারফর্ম করতে দেননি ব্যাপারটা তা নয়, আপনারা সবচেয়ে বেশি কষ্ট দিয়েছেন আমাদের শ্রোতাদের। তাদের অনেকেই এই পোস্ট না দেখলে হয়ত এটাও জানতোনা যে কুঁড়েঘর এসেছিল এবং তাদের মতোই অপেক্ষা করেছিল তাদের গান শোনাতে। বাংলাদেশের ব্যান্ড সিনারিওতে এই গল্প কোন নতুন গল্প নয়। বাস্তবতা হচ্ছে সকল ব্যান্ড প্রায় সব কনসার্টেই সময়মতো পৌঁছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে পরে পারফর্ম করে এবং কেউ এটা নিয়ে কখনও কমপ্লেইন করে না। আমরা যারা ব্যান্ড করে পারফর্ম করে বেড়াই, কেবল আমরাই জানি একটা কনসার্ট এর গুরুত্ব আমাদের কাছে কতটুকু রয়েছে কিংবা প্রতি শো এর পেছনে আমাদের কত গল্প কত আবেগ জড়িয়ে থাকে।’
সবশেষে শিল্পী তাসরিফ ঘোষণা দেন যে, ‘যাই হোক, আজকে যারা আমাদের শ্রোতা হয়ে অপেক্ষা করেছেন, আপনারা আমাদের ক্ষমা করবেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের পরম ভালোবাসার একটি প্রতিষ্ঠান। নিশ্চই আবার দেখা হয়ে যাবে আপনাদের সাথে। আপনাদের অবগতির জন্য সম্মানের সাথে জানাতে চাই, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের, ‘মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতি’ আয়োজিত কোন কনসার্ট এ কুঁড়েঘর ব্যান্ড আর কখনও অংশগ্রহণ করবে না।’
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মখসারির যোদ্ধা ছিলেন গায়ক তাসরিফ খান। গান গেয়ে হোক আর সামাজিক মাধ্যমে দু’কলম লিখেই হোক ছাত্রদের পাশে ছিলেন তিনি। সরকার পতনের পরেও নানা প্রসঙ্গে ফেসবুকে পোস্ট শেয়ার করেছেন তাসরিফ।