Chitralee will take you closer to the world of entertainment.
Chitralee will take you closer to the world of entertainment.
রবিবার, জানুয়ারি ১৯, ২০২৫

আতশবাজি আর ফানুস নিয়ে জয়ার সতর্ক বার্তা

জয়া আহসান | ছবি: ফেসবুক

দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান বরাবরই পরিচিত একজন প্রাণী প্রেমী হিসেবে। রাস্তার অসহায় কুকুর-বিড়াল থেকে ছোট ছোট পাখি, সকলের জন্যে মন কাঁদে তার। তাই তো ৩১ ডিসেম্বর রাতে সেলিব্রেশনের নামে বোবা প্রাণীদের প্রতি অত্যাচার নিয়ে সতর্ক করলেন সকলকে।

৩০ ডিসেম্বর, নিজের ব্যক্তিগত সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে অভিনেত্রী জয়া লিখেছেন, ‘মানুষদের মতো পাখিদের কোনো ক্যালেন্ডার নেই। তারা থার্টি ফার্স্ট চেনে না। অন্য আর দশটা সন্ধ্যার মতোই তারা ফিরে যায় যে যার নীড়ে, রাতে ঘুমিয়ে পরদিন সকালে উঠে আবার কিচিরমিচির করবে বলে। কিন্তু সেই রাতে কী যেন হয় মানুষের। তারা ঘুমায় না। তীব্র হট্টোগোল শুরু হয়, যেন যুদ্ধ! বিকট শব্দে পাখিদের ঘুম ভেঙে যায়। তারা দেখে আকাশে শত শত ফানুস উড়ছে। হঠাৎ একটা ফানুস এসে পুড়িয়ে দেয় গাছে থাকা সমস্ত পাখির ঘর। কেউ কেউ পুড়ে মরে, কেউবা আতঙ্কিত হয়ে আকাশে উড়াল দেয়। কিন্তু আকাশটাই তো নিরাপদ না।’

জয়া আহসানের ফেসবুক পোস্টের স্ক্রিনশর্ট

এরপর তিনি লেখেন, ‘কোনো কোনো পাখি মারা পড়ে তীব্র শব্দে, আবার কারও গায়ে লাগে আতশবাজি। এরপরও যেসব ভাগ্যবান পাখি তখনও বেঁচে থাকে, তাদের কেউ কেউ আতঙ্কিত হয়ে বিল্ডিংয়ের সাথে ধাক্কা খেয়ে প্রাণ হারায়।’

অভিনেত্রীর ভাষায়, ‘জানি এই শহরে প্রচুর মানুষও মারা যায়, কারও কারও কাছে পাখির মৃত্যু আদিখ্যেতা মনে হয়। কিন্তু মানুষের মৃত্যু দেখার জন্য তো সংস্থা আছে, সংখ্যা হিসাব করার প্রতিষ্ঠান আছে। আছে আহত মানুষের চিকিৎসা দেওয়ার হাসপাতাল। কিন্তু পাখিদের এসব কিছুই নেই। তাই পাখিরা মারা গেলে ডেথ সার্টিফিকেট হয় না, জানা যায় না মৃত্যুর কারণ। এমনকি মৃত পাখিদের সংখ্যাটাও জানি না আমরা কেউ। ফলে এই শহরের মতোই পাষণ্ড নাগরিকেরা ভাবে, পাখির মৃত্যু? ও আর এমন কী! কিন্তু মানুষ কেন ভাবে না যে প্রতিটি প্রাণের গুরুত্ব সমান!’

আতশবাজির শব্দে শিশু উমায়েরের মৃত্যুর প্রসঙ্গ টেনে অভিনেত্রী জয়া বললেন, ‘শুধু পাখির কথা কেন, এই শহরের কুকুর-বিড়াল-মুরগী-কীটপতঙ্গসহ সবাই-ই অস্থির হয়ে যায় নগরবাসীর আতশবাজি আর ফানুস উৎসবে। এমনকি ডিমের ভেতর বাচ্চা পর্যন্ত নষ্ট হয়ে যায়। আর মানুষ? তারা তো মানুষের কথাও ভাবে না। ২০২২-এর জানুয়ারির ১ তারিখ যখন নগরবাসী সারারাত আতশবাজি উৎসব করে ঘুমাচ্ছে তখন মৃত্যুর সাথে লড়াই করছিল ৪ মাস বয়সী উমায়ের। একসময় সে পরাজিত হয় এবং মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। ছোট্ট উমায়েরের এই মৃত্যুর দায় কেন এই নগরবাসী নেবে না? আপনারা যারা আতশবাজি ফুটিয়েছিলেন তারা কেউ কি এই দায় থেকে মুক্ত?’

সবশেষে তিনি লেখেন, ‘এ বছরও হয়ত আপনারা আতশবাজি আর ফানুসের ঝলকানিতে নতুন বছরকে বরণ করে নেবেন। উৎসবের নামে এই তাণ্ডবলীলা চালানোর সময় কি এই অসহায় কুকুর-বিড়াল-পাখিসহ অসহায় প্রাণীদের করুণ মুখগুলো আপনাদের মনে পড়বে? আপনাদের কি মনে পড়বে শিশু উমায়েরের নিষ্পাপ মুখটির কথা? যদি এদের কারও কথা আপনার মনে না পড়ে, অথবা মনে পড়ার পরও যদি আতশবাজি আর ফানুসের তাণ্ডব চালিয়ে যান, তাহলে জেনে রাখুন, এই প্রাণীহত্যার দায় আপনারও।’

Share this article
Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Read next

অ্যান্টিলিয়ার যে ফ্লোরে থাকেন আম্বানি পরিবার

আকাশচুম্বী বিলাসবহুল বাসভবন অ্যান্টিলিয়ার কেবল মাত্র ২৭ নম্বর ফ্লোরে থাকার অনুমতি আছে আম্বানি পরিবারের…

ছবিপ্রতি কত পারিশ্রমিক নেন শাহরুখ-আল্লুরা?  

ভারতীয় তারকারা বরাবরই উচ্চ পারিশ্রমিকের জন্য পরিচিত। জানেন কি ভারতের শীর্ষ ১০ তারকাদের গড়ে পারিশ্রমিক কত?…

প্রশংসায় ভাসছেন ফারিণ

মার্কিন সংগীতশিল্পী আরিয়ানা গ্রান্ডের ‘পপুলার’ গানটি খালি গলায় কভার করে প্রশংসায় ভাসছেন অভিনেত্রী তাসনিয়া…
0
Share