চলমান বিভিন্ন বিষয় নিয়েই কথা বলেন দর্শকপ্রিয় নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে শুরু করে অন্তর্বর্তী সরকার- সব বিষয় নিয়েই সরব থাকেন তিনি। আরও একবার ফারুকী সোশ্যাল মিডিয়াকে বেঁছে নিলেন রাজনৈতিক দলগুলো নিয়ে তার মতামত প্রকাশ করতে।
মূলত ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বাংলাদেশের বিগত সরকারের পতনের পর থেকে প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে আরেক রাজনৈতিক দল জামায়াত-শিবিরের বিভিন্ন কার্যক্রম। জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে এ দলটির নেতাকর্মীরা কি কি ভূমিকা রেখেছিলেন সেসবও স্পষ্ট হচ্ছে ধীরে ধীরে। যা নিয়ে বেশ চর্চা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে। এরই ধারবাহিকতায় এ আলোচনায় যোগ দিয়েছেন ফারুকী।
২৫ সেপ্টেম্বর নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক হ্যান্ডেল থেকে ফারুকী একটি স্ট্যাটাস পোস্ট করে প্রথমে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে লিখেছেন, ‘২০২৪ সালে এসে কেউ যদি নিউটনের গতিসূত্র আবিষ্কার করে এবং সেই আবিষ্কারের আনন্দে ইউরেকা ইউরেকা বলে চিৎকার করতে থাকে, তাহলে কি বলা যাবে? ছাত্র জনতার আন্দোলনে জামাত ছিল না এই কথাটা কে বলেছে কবে?’
নির্মাতা যোগ করেন, ‘বাংলাদেশের সবাই জানে এই আন্দোলনের প্রথম থেকে বিএনপি ,জামাত,বাম দল সহ দল মত নির্বিশেষে সবার অংশগ্রহণ ছিল। সবাই একটা জিনিসই চেয়েছে, শেখ হাসিনার পতন।’
বিষয়টি আরও পরিষ্কার করে ফারুকী লেখেন, ‘আরেকটু পরিষ্কার করে বলি, শুধু এবারই প্রথম চেয়েছে তা না। যখন নিরাপদ সড়কের দাবিতে কিশোর আন্দোলন হয়েছে তখনও প্রত্যেকে ওয়াটার টেস্ট করে দেখেছে, এটা কি সরকার পতনের আন্দোলনের দিকে নেওয়া সম্ভব কিনা। জিও পলিটিক্যাল বাস্তবতা এবং সেনাবাহিনীর বাস্তবতায় সেটা সম্ভব ছিল না বুঝতে পেরে আবার প্রত্যেকে দমেও গেছে।’
ফারুকীর ভাষায়, ‘এবারও পুরো জাতি ওয়াটার টেস্ট করেছে এবং ২০ জুলাইয়ের মধ্যে বুঝতে পেরেছে, এই আন্দোলনে সরকার পতন সম্ভব। ফলে মানুষ সরকার পতন ঘটিয়েছে!’ সবশেষ আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে এই নির্মাতা লেখেন, আওয়ামী লীগের উচিত হবে ভাবা, কেনো সবাই তাদের পতন চেয়েছে। ক্লিয়ার?’
নির্মাতার স্ট্যাটাসে অনেকের ফারুকীর সাথে একমত পোষণ করেছেন। অনেকে আবার বলছেন, গুরুত্বপূর্ণ কথা তুলে ধরেছেন ‘থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার’ খ্যাত এ নির্মাতা।