আশা করেছিলেন ‘আলো আসবেই’, তবে সমীকরণ মিলেনি। গ্রুপ চ্যাট ফাঁস হলো, এরপর থেকে যেন অন্ধকার নেমে এসেছে অভিনেত্রী সোহানা সাবার জীবনে। বর্তমানে সমালোচনার তোপের মুখে দিন কাটাচ্ছেন তিনি। তবে এবার আইনি পদক্ষেপ নেয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন অভিনেত্রী!
মূলত আওয়ামী লীগ সমর্থিত শোবিজ তারকাদের ‘আলো আসবেই’ গ্রুপের সক্রিয় সদস্য হওয়ার কারণে সাবাকে নিয়ে যখন আলোচনা-সমালোচনা তুঙ্গে, ঠিক তখনই একটি গণমাধ্যম থেকে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটির শিরোনাম ‘সোহানা সাবার দেহব্যবসার চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস’। এই প্রতিবেদন দেখেই ফুঁসে উঠেছেন সাবা, দিয়েছেন আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি।
নিজের ভেরিভাইড ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেল থেকে এক পোস্ট করে এই প্রসঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সোহানা সাবা। পোস্টে অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘দেশের একটি গণমাধ্যম আমার বিরুদ্ধে ৬ সেপ্টেম্বর একটি (ইউটিউব এবং অনলাইন নিউজ) নিউজ করেছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করা হয়েছে, যাতে আমার সুনাম নষ্ট হয়।’
সাবা যোগ করেন, ‘গত ২০ বছর ধরে আমি মিডিয়ায় কাজ করছি এবং সচেতনভাবে আমি আমার কাজের বাইরে কোনো বিতর্ক বা আলোচনায় থাকতে চাই না। এ বছরের শুরুতে একটি প্রতারণামূলক দল আমার নামে মানুষের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছিল। আমি তখনই একটি জিডি করি, যেন ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ কেউ আর করার সাহস না পায়। সেখান থেকে এক অপরিচিত সাংবাদিক এই ঘটনা সম্পর্কে জানতে পারে এবং আমাকে ফোন করে কথা বলে।’
অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘একজন নারী হিসেবে আমি সে সময়ে আমার সম্মান বাঁচাতে যে কাজটি করেছি, সেটি এই অসময়ে এসে আমার বিরুদ্ধেই বানোয়াট নিউজ করে আমার রেপুটেশন নষ্ট করার চেষ্টা করেছে একটি বিকৃত হেডলাইনের মাধ্যমে।’
এরপর সোহানা সাবা শক্তভাবে সেই মিডিয়ার উদ্দেশে বলেন, আগামী দুই ঘণ্টার মাঝে তারা যদি প্রত্যেকটি নিউজ ডিলিট না করেন, তাহলে অভিনেত্রী প্রমাণ নিয়ে আইনানুগ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবেন।
প্রসঙ্গত, ‘আলো আসবেই’ শিরোনামে তারকাদের গোপন গ্রুপের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, ঢাকা-১০ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য চিত্রনায়ক ফেরদৌস, রিয়াজ আহমেদ, সাজু খাদেম, অভিনেত্রী শামীমা তুষ্টি, অরুণা বিশ্বাস, তানভীন সুইটিসহ আরও অনেকে।