বিজয় থালাপাতির রাজনৈতিক
ভারতীয় অভিনেতা ও রাজনীতিবিদ বিজয় থালাপাতির রাজনৈতিক সমাবেশে ঘটেছে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। তামিলনাড়ুর করুর জেলায় বিজয় থালাপাতির সমাবেশে পদদলিত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৯ জনে। নিহতদের মধ্যে ১৬ জন নারী, ৯ জন পুরুষ এবং ৬ শিশু রয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মা সুব্রমানিয়ান। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ৪০ জন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বিজয় থালাপাতির রাজনৈতিক সমাবেশে ভয়াবহ এ দুর্ঘটনার মুহূর্তটি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। দেখা গেছে, কিছু মানুষ প্রচণ্ড ধাক্কায় নিচে পড়ে যাচ্ছেন। এরপর তারা পদদলিত হন। একটি ভিডিওতে মানুষকে চিৎকার করতে শোনা যাচ্ছে।
তারা তখন বাঁচতে চাইছিলেন। শ্বাস নিতে না পেরে একজন আরেকজনের ওপরে ওঠার চেষ্টা করেন। এতে করে নিচের মানুষ আরো বেশি চাপা পড়েন। কিছু শিশুকে তাদের বাবা-মায়ের কাঁধে বসে থাকতে দেখা যায়।
বিজয় থালাপতির ভ্রাম্যমাণ মঞ্চের (বাস) কাছে আসার জন্য অপেক্ষা করছিল তারা। এর কয়েক মিনিট পরই ঘটে যায় ওই ঘটনা।
ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, থালাপতি বিজয় তার ভ্রাম্যমাণ মঞ্চের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। ওই সময় অনেকে তার কাছে আসার চেষ্টা করেন। এতে করে সেখানে দমবন্ধকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
মানুষ প্রচণ্ড গরম ও ধাক্কাধাক্কিতে হাঁসফাঁস করছেন এমনটি দেখতে পেয়ে তিনি তার বাস থামিয়ে দেন। ওই সময় কিছু মানুষের দিকে পানির বোতল ছুঁড়ে মারেন।
বিজয় থালাপাতির দেরি
পুলিশ জানিয়েছে, বিজয় জনসভাস্থলে সাত ঘণ্টা দেরি করে আসেন। যেখানে তার দুপুর ১২টায় আসার কথা ছিল। সেখানে তিনি আসেন সন্ধ্যা ৭টারও পর। অথচ সাধারণ মানুষ এসেছিলেন সকাল ১১টার দিকে। তারা বিজয়কে দেখতে প্রচণ্ড রোদের মধ্যে সারা দিন না খেয়ে ছিলেন বলেও জানিয়েছেন পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, নিহত প্রাপ্তবয়স্করা সবাই বিজয়ের দল ‘তামিলাগা ভেট্ট্রি কাজগম’-এর সমর্থক ছিলেন। তারা সকাল থেকে সমাবেশস্থলে ভিড় জমিয়েছিলেন এবং প্রায় ছয় ঘণ্টা অপেক্ষা করেছিলেন। কিন্তু বিজয় থালাপাতির আগমনের দেরি হওয়ায় ভিড় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় এবং এরপরেই ঘটে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।