৯০ হাজার ভক্তকে নিয়ে প্রকাশ করলেন গান
দীর্ঘ ৩৩ বছরের ক্যারিয়ারে সিনেমাকে বিদায় জানালেন থালাপতি বিজয়। বিনোদনজগৎকে বিদায় জানিয়ে রাজনীতিতে নাম লেখান দক্ষিণ ভারতীয় অভিনেতা। শৈশব থেকেই সিনেমার সেট ছিল তার পরিচিত পৃথিবী। অবশেষে সেই দীর্ঘ যাত্রায় ইতি টানলেন দক্ষিণী তারকা থালাপতি বিজয়। মাত্র ৫১ বছর বয়সে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিনয় থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেন তিনি।

গত শনিবার মালয়েশিয়ার ন্যাশনাল স্টেডিয়াম বুকিত জলিলে সিনেমার গান প্রকাশের আয়োজন ছিল। বিজয়ের শেষ সিনেমায় নিয়ে ভক্তদের আগ্রহের কমতি ছিল না। বিজয়কে দেখতে ৯০ হাজার ভক্ত ভিড় করেছেন।
ভক্তদের সঙ্গে সেলফি তুলতে দেখা গেছে বিজয়কে। অনুষ্ঠানে বিজয় বলেন, শ্রীলঙ্কার পর বিশ্বে সবচেয়ে বড় তামিল জনগোষ্ঠী মালয়েশিয়ায়। তিনি বলেন, ‘মালয়েশিয়ায় বহু তামিল সিনেমার শুটিং হয়েছে। আমার “কাভালান” ও “কুরুবি” ছবির শুটিংও এখানে হয়েছে।’
সিনেমাকে বিদায়ের কারণ জানালেন বিজয়
তামিল চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা বিজয় গত বছর আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে পা রাখেন। তিনি গঠন করেন নতুন রাজনৈতিক দল ‘তামিলাগা ভেত্রি কাজাগাম’ (টিভিকে)। দল ঘোষণার পরই তিনি তামিলনাড়ু বিধানসভা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা জানান, যা নিয়ে রাজ্যজুড়ে শুরু হয় আলোচনা।

রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে পূর্ণ মনোযোগ দেওয়ার লক্ষ্যে অভিনয় জীবনেও বড় সিদ্ধান্ত নেন বিজয়। হাতে থাকা সিনেমা ‘জন নায়াগান’ শেষ করার পর আর নতুন কোনো ছবিতে কাজ না করার ঘোষণা দেন তিনি। তার এই সিদ্ধান্তকে অনেকেই রাজনীতিতে পুরোপুরি মনোনিবেশ করার প্রস্তুতি হিসেবে দেখছেন।
চলচ্চিত্রে দীর্ঘ পথচলার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে ভক্তদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন দক্ষিণী সুপারস্টার বিজয়। নিজের ক্যারিয়ারের শুরু থেকে নানা সমালোচনার মুখে পড়ার কথা স্বীকার করেন। বলেন, এসব তার জন্য নতুন কিছু নয়। তবে সব পরিস্থিতিতেই ভক্তদের অকুণ্ঠ সমর্থন তাকে এগিয়ে যেতে সাহস জুগিয়েছে।
শেষ সিনেমা ‘জন নায়াগান’ মুক্তি ৯ জানুয়ারি
৩৩ বছর ধরে ভক্তরা তার পাশে থেকেছেন, যা তিনি আজীবন মনে রাখবেন। তিনি বলেন, সিনেমায় আসার সময় তার স্বপ্ন ছিল ছোট বালুর ঘর বানানোর মতো। কিন্তু ভক্তদের ভালোবাসায় সেই স্বপ্ন আজ প্রাসাদে রূপ নিয়েছে। এজন্য ভক্তদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

এইচ বিনোথ পরিচালিত ‘জন নায়াগান’ সিনেমাটি আগামী বছরের ৯ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে মুক্তি পাবে। এই ছবিতে বিজয়ের পাশাপাশি অভিনয় করেছেন পূজা হেগড়ে, ববি দেওল ও মামিথা বাইজু।