অভিনেতা হোমায়ুন এরশাদি মারা গেছেন
ইরানের কিংবদন্তী নির্মাতা আব্বাস কিয়ারোস্তামির বিশ্বজয়ী সিনেমা ‘টেস্ট অব চেরি’। সেই সিনেমায় নাম ভূমিকায় অভিনয় করে খ্যাতি পাওয়া অভিনেতা হোমায়ুন এরশাদি মারা গেছেন। মঙ্গলবার তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ইরানি বার্তা সংস্থা আইআরএনএন। ৭৮ বছর বয়সী এই অভিনেতা দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারে ভুগছিলেন।
হোমায়ুন এরশাদি অভিনয়ে আসার আগে পেশায় স্থপতি ছিলেন। ১৯৯৭ সালে ‘টেস্ট অব চেরি’তে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে তার। সিনেমার মূল চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি।

কাকতালীয়ভাবে সিনেমাটিতে অভিনয়ের সুযোগ পান এরশাদি। যানজটের মধ্যে তেহরানের রাস্তায় গাড়িতে বসেছিলেন তিনি। তাকে দেখে এগিয়ে আসেন আব্বাস কিয়ারোস্তামি। বলেন, ‘আমি একটা সিনেমা বানাতে চাই, আপনি অভিনয় করবেন?’
সিনেমাটি এরশাদিকে রাতারাতি তারকাখ্যাতি এনে দেয়। সিনেমায় দেখা গেছে, বাদি চরিত্রটি আত্মহত্যা করার পরিকল্পনা করেছেন। তার ইচ্ছা, তাকে যেন একটি চেরিগাছের নিচে সমাহিত করা হয়। তাকে সমাহিত করবেন—এমন মানুষকে খুঁজতে থাকেন তিনি।
‘টেস্ট অব চেরি’ সিনেমাটি ১৯৯৭ সালের কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে স্বর্ণপাম জিতেছিল। আব্বাস কিয়ারোস্তামি বরাবরই অপেশাদার অভিনয়শিল্পীদের নিয়ে কাজ করেন। ফলে তার সিনেমার বেশির ভাগ শিল্পীকে অভিনয়ে নিয়মিত দেখা যায় না। তবে এরশাদি নিয়মিত কাজ করেছেন।
১৯৪৭ সালের ২৬ মার্চ ইরানের ইস্পাহানে জন্ম এরশাদির। তিনি ইতালির ভেনিসে স্থাপত্য নিয়ে পড়াশোনা করেন। ইরানে ফিরে পেশাদার স্থপতি হিসেবে কাজ করতে থাকেন। ১৯৭৯ সালে পরিবার নিয়ে কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে পাড়ি জমান। সেখানে একটি স্থাপত্য প্রতিষ্ঠানে প্রায় এক দশকের বেশি সময় কাজ করেছেন। পরে ইরানে ফেরেন তিনি।
২০০৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত মার্ক ফরস্টারের ‘কাইট রানার’ সিনেমা এরশাদিকে আরও খ্যাতি এনে দেয়। তিন দশকের ক্যারিয়ারে ৯০টির মতো চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন তিনি। তবে সিনেমাপ্রেমীরা তাকে মনে রেখেছেন ‘টেস্ট অব চেরি’ সিনেমার দুর্দান্ত অভিনয়ের কারণেই।