ক্যারিয়ার শেষ হয়ে গেছে
অভিনেতা ওমর সানী ঢালিউড সুপারস্টার হয়েও ক্যারিয়ার শেষ হয়ে গেছে। পরিচালক ও অভিনেতা রবিউল ইসলাম রাজ জানিয়েছেন, অভিনেতা ওমর সানীর তিনটি ভুলের কারণে তার ক্যারিয়ার ধ্বংস হয়েছে।
ওমর সানীর সঙ্গে শওকত জামিল পরিচালিত ‘চালবাজ’ সিনেমায় সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছিলেন রবিউল ইসলাম রাজ। মনোয়ার খোকন পরিচালিত ‘গরিবের রানী’ সিনেমাতেও কাজ করেন তিনি।
এ ছাড়া ওমর সানী অভিনীত পিএ কাজল পরিচালিত ‘বাঁচাও দেশ’ সিনেমায় খলচরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। সেই জনপ্রিয় অভিনেতাকে নিয়ে এবার তিন ভুলে ক্যারিয়ার ধ্বংসের কথা জানালেন পরিচালক।
সেই তিনটি কারণ হলো— আমজাদ হোসেনের সঙ্গে বেয়াদবি, আহমেদ আলী মণ্ডলকে চড় মারা এবং মৌসুমীকে বিয়ে করা।
রবিউল ইসলাম রাজ বলেন, ‘অভিনেতা, লেখক ও চলচ্চিত্র পরিচালক আমজাদ হোসেন ব্যতিক্রমধর্মী একজন নির্মাতা ছিলেন। ১৯৯৩ সালের শেষের দিকে একজন সন্ত্রাসী সিনেমার মহরত অনুষ্ঠানের দিনে আমজাদ হোসেনের সঙ্গে একটি ছোট্ট বেয়াদবি করেন সানী। সে কারণে দুদিন শুটিং করার পরে তাকে বাদ দেওয়া হয়।’
দ্বিতীয় ঘটনা প্রসঙ্গে পরিচালক বলেন, নায়িকা মৌসুমী প্রযোজিত এবং মনোয়ার খোকন পরিচালিত গরিবের রানী সিনেমায় আহমেদ আলী মণ্ডল ছিলেন প্রধান সহকারী পরিচালক। আর সেই সিনেমায় নায়ক ছিলেন ওমর সানী। শুটিং চলছিল নারায়ণগঞ্জের পাগলা পপুলার স্টুডিওতে। সেখানেই আহমেদ আলী মণ্ডলকে চড় মারেন এই নায়ক। তিনি বলেন, যে কারণে সহকারী পরিচালক সমিতি (সিডাব) সিদ্ধান্ত নিয়েছিল—নায়ক ওমর সানী যেসব সিনেমায় কাজ করবে, সেই সিনেমায় কোনো সহকারী পরিচালক কাজ করবে না সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ঘোড়ায় চড়ে ওমর সানী
এ নির্মাতা বলেন, তখন পরিচালক সমিতির নেতৃত্বে ওমর সানীকে উঁচু একটি ঘোড়ার ওপর উঠিয়ে এফডিসির মধ্যে সবার সামনে হাতজোড় করে মাফ চাওয়ান এবং সমাধান করে দেন।
রবিউল ইসলাম রাজ বলেন, আর তৃতীয় কারণ হচ্ছে—১৯৯৬ সালের ২ আগস্ট নায়ক ওমর সানী নায়িকা মৌসুমীকে বিয়ে করেন। এতে বহু সিনেমা ব্যবসায়িক দিক দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যে কারণে প্রযোজক ও পরিচালকদের মন খারাপ হয়ে যায় নায়ক ওমর সানীর ওপর।