অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত
যে মুহূর্তগুলো সাধারণ মানুষের কাছে নিছক পথচলার স্মৃতি, সেগুলোই কখনও কখনও তারকাদের জীবনে হয়ে ওঠে বিতর্কের জন্মদাতা। বারাণসী সফরে রাস্তার ধারের চাট হাতে নেওয়া কঙ্গনা রানাওয়াতের ক্ষেত্রেও তেমনটাই ঘটল। একটি প্লেট চাট, কয়েকটি ছবি, আর তার সাথে তৈরি হলো নতুন সমালোচনার স্রোত। টিকিয়া-ছোলার প্লেট হাতে বিতর্কের মুখে কঙ্গনা এবার।

সম্প্রতি বারাণসীতে ঘুরতে গিয়ে চাট (টিকিয়া-ছোলা) খাচ্ছেন, এমন মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও নিজেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেন কঙ্গনা। মুখভরা সরল আনন্দের সেই দৃশ্যই অল্প সময়েই বদলে যায় তর্ক-বিতর্কে। নেটিজেনদের একাংশ অভিযোগ তোলে, খাবার শেষে নাকি তিনি প্লেটটি রাস্তায় ফেলে দিয়েছেন, ফলে শহরের পরিচ্ছন্নতা নষ্ট হয়েছে। দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের এমন দাবি ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয় ব্যাপক সমালোচনা।
বিতর্কের মুখে কঙ্গনা; প্রতিউত্তর
তবে অভিযোগের উত্তরে দেরি করেননি কঙ্গনা। নিজের শেয়ার করা ছবিগুলোর স্ক্রিনশট দেখিয়ে তিনি বলেন, যেখানে তিনি দাঁড়িয়ে খাচ্ছিলেন, ঠিক পাশেই ছিল একটি ডাস্টবিন। তার দাবি, রাস্তায় নয়, প্লেটটি তিনি ফেলে দিয়েছেন সেই নির্দিষ্ট পাত্রেই। সমালোচকদের উদ্দেশে কঙ্গনার কড়া বার্তা, “মিথ্যা অভিযোগ করার আগে চারপাশটা দেখুন। আমি কোনও শহরেই আবর্জনা ফেলে নোংরা করি না।”
এরপরও বিতর্ক একেবারে থামেনি। কেউ মনে করছেন, কঙ্গনাকে উদ্দেশ্য করে ইচ্ছাকৃতভাবে প্রথমে ডাস্টবিনটি ভিডিওতে দেখানো হয়নি। আবার কেউ বলছেন, জনপ্রিয়তার মূল্য হিসেবেই হয়তো প্রতিটি আচরণ তার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত পর্যবেক্ষণের মুখে পড়ে। ফলে ঘটনাটিকে ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় এখনো চলছে তর্ক-বিতর্ক আর পাল্টা ব্যাখ্যার লড়াই। বিতর্কের মুখে কঙ্গনা কে রাখছেন কেউ , কেউ বা পক্ষে দাঁড়াচ্ছেন।

শেষ পর্যন্ত, বারাণসীর এক প্লেট চাট হয়তো মিশে গেছে দিনের ভিড়ে, কিন্তু আলোচনার ঝড় প্রমাণ করে, তারকাদের একটি পদক্ষেপ কত সহজেই তিলকে তাল বানিয়ে তুলতে পারে।
কঙ্গনার সর্বশেষ ‘ইমার্জেন্সি’ সিনেমায় অভিনয় করেন যা বক্স অফিসে উল্লেখযোগ্য সাফল্য পায়নি। এরপর থেকে নতুন কোনো বড় প্রজেক্টেও দেখা যায়নি তাকে। তার নিজস্ব প্রযোজনা সংস্থাও স্থবির। হিমাচলে তার পরিচালিত ক্যাফেও চলছে সীমিত পরিসরে।
সব মিলিয়ে বর্তমানে কঙ্গনা পেশাগত অনিশ্চয়তার সময় পার করছেন। রাজনীতির মঞ্চে প্রত্যাশিত সাফল্য না পাওয়ায় হয়তো অভিনয়েই আবার ফিরতে পারেন এই অভিনেত্রী ও সাংসদ।