খরচ জোগাতে কফি আর স্যান্ডউইচ বিক্রি করতেন শ্রদ্ধা
বর্তমান বলিউডের শীর্ষ নায়িকাদের একজন শ্রদ্ধা কাপুর। ২০২৪ সালে তার অভিনীত হিন্দি সিনেমা ‘স্ত্রী ২’ প্রায় ৯০০ কোটি টাকা আয় করেছে। বলিউডে প্রথম সারির নায়িকা তিনি এখন। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না, অভিনয়ের পাশাপাশি শ্রদ্ধা একজন সফল উদ্যোক্তাও। খরচ জোগাতে কফি আর স্যান্ডউইচ বিক্রি করতেন শ্রদ্ধা । তার সংগ্রাম ও পরিশ্রমের গল্প অনেককে অনুপ্রেরণা দেবে।
ক্যামেরার সামনে আসার আগে এক সময় বিদেশে কফি বানাতেন, স্যান্ডউইচ বিক্রি করতেন তিনি। চাকরি খোঁজার অ্যাপে নিজের প্রোফাইলে অভিনেত্রী ও উদ্যোক্তা হওয়ার পাশাপাশি আরও দু’টি জীবিকার কথা তালিকায় যোগ করেছেন বলিউড অভিনেত্রী শ্রদ্ধা কাপুর। ভারতীয় গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সেখান থেকে উপার্জিত অর্থেই চলত তার হাতখরচ। যদিও সম্প্রতি যাদের সে সময় কফি করে খাইয়েছেন, প্রত্যেকের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি।
কফি বানানো থেকে স্যান্ডউইচ— নানা ধরনের খাবার তৈরি করতে হত। যদিও সম্প্রতি শ্রদ্ধা বলেন, ‘২০০৫ সালে বস্টনে পড়ার সময় যে সংস্থায় চাকরি করতাম সেই সময় যে কয়জনকে কফি খাইয়েছি, তাদের সকলের কাছে ক্ষমা চাইছি।’
অভিনেত্রী বিদেশে নিজের উচ্চশিক্ষা শেষ করে তারপরে দেশে ফিরেছেন। বস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতেন তিনি।
সেই সময় অভিনেত্রীকে নিজের হাতখরচ চালাতে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এক কফি প্রস্তুতকারক সংস্থায় চাকরি করতে হয়। সেখানেই ওয়েটারের কাজ করতেন।
শ্রদ্ধার বলিউড যাত্রা
শ্রদ্ধা এই মুহূর্তে বলিউডের অন্যতম সফল অভিনেত্রী। ২০১০ সালে ‘তিন পাত্তি’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে যাত্রা শুরু। শুরুটা সহজ ছিল না, ছবিটি সাড়া ফেলেনি।
পরবর্তী কয়েকটি ছোট চরিত্রের পর ২০১৩ সালে আসে ‘আশিকি ২’, যা তাকে জনপ্রিয় করে তোলে। এরপর ‘এক ভিলেন’, ‘ওকে জানু’, ‘হায়দার’, ‘ছিছোড়ে’ ও ‘স্ত্রী’—সব ছবিতেই শ্রদ্ধা প্রমাণ করেছেন নিজেকে। বিশেষ করে ‘ছিছোড়ে’ তাঁকে ভিন্নধর্মী চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ দিয়েছে।
২০২৪ সালের হরর-কমেডি ‘স্ত্রী ২’ শুধু বলিউড নয়, আন্তর্জাতিক বাজারেও সফল। ছবিটি বিশ্বজুড়ে আয় করেছে ৮৮৪.৪৫ কোটি রুপি। এই সাফল্য শ্রদ্ধাকে বলিউডের সবচেয়ে ‘ব্যাংকেবল’ তারকাদের একজন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। শ্রদ্ধা শুধু সিনেমার পর্দাতেই থেমে নেই; ব্যবসায়িক উদ্যোগেও সফল। সম্প্রতি অলংকার কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেছেন। সিনেমা ও ব্যবসা একসাথে সামলাচ্ছেন, যা তাকে বর্তমান প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার প্রতীক করেছে। শ্রদ্ধা মনে করেন, সিনেমা সমাজের প্রতিফলন। তিনি বলেন, “ওটিটি যুগের আগে নারীকেন্দ্রিক ব্যতিক্রমী সিনেমা মুক্তি পেত এবং সফলও হতো। তাই এটা নতুন কিছু নয়।”