১৯৯৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত অভিনয়শিল্পী ফেরদৌস আহমেদ ও প্রিয়াঙ্কা ত্রিবেদী অভিনীত বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত কালজয়ী রোমান্টিক চলচ্চিত্র ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ মুক্তির পূর্ণ হলো ২৫ বছর। বাসু চ্যাটার্জি পরিচালিত সিনেমাটির ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে ১৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয়েছে ছবিটি নিয়ে স্মৃতিচারণের এক বিশেষ অনুষ্ঠান। একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচনও ছিল এই আয়োজনটির অন্যতম কারণ।
‘চিত্রনাট্য ও অন্যান্য প্রসঙ্গ’ শীর্ষক বই উন্মোচিত করা হয় আয়োজনে। বাসু চ্যাটার্জির রচনায় ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ সিনেমার মূল চিত্রনাট্য, সিনেমার অনেক স্থিরচিত্র ও শিল্পী-কলাকুশলীর অভিজ্ঞতার কথা নিয়ে রচিত হয়েছে বইটি।
বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আইয়ের ছাদ বারান্দায় আয়োজন করা হয় বই উন্মোচন ও স্মৃতিচারণের বিশেষ এই অনুষ্ঠানের। আয়োজনটিতে উপস্থিত ছিলেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস, রিয়াজ ও ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ ছবির প্রযোজক হাবিবুর রহমান খান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লিমিটেড ও চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগরসহ বইটির সম্পাদনার দায়িত্বের থাকা নির্মাতা ছটকু আহমেদ, চলচ্চিত্র সাংবাদিক আব্দুর রহমান, কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন, নির্মাতা মতিন রহমান, মুশফিকুর রহমান গুলজারসহ আরও অনেকে।
অনুষ্ঠানটিতে বিভিন্ন স্বনামধন্য ছবি প্রযোজনা করার জন্য চ্যানেল আইয়ের পক্ষ থেকে সম্মানিত করা হয় প্রযোজক হাবিবুর রহমানকে।
এদিকে সিনেমাটি নিয়ে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে ফেরদৌস বলেন, “এই সিনেমার সঙ্গে আমাদের প্রত্যেকের অনেক স্মৃতি। আমার তো হাজার হাজার স্মৃতি জড়িত।” তিনি আরও জানান, “আজকে যে বইটি প্রকাশিত হয়েছে, তাতে আমার কিছু স্মৃতি লিখেছি।” এছাড়াও তিনি বলেন, “বইটি প্রকাশে পুরো বিষয়টির নাটের গুরু সাগর ভাই। ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ সিনেমাটিকে ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ব্যানারে নিয়ে এসে সারা বিশ্বের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।”
নির্মাতা বাসু চ্যাটার্জির কথাও স্মরণ করতে ভুলেননি ফেরদৌস। অভিনেতা বলেন, “বাসু দা ৯৪ বছরে মারা যান। মারা যাওয়ার মাসখানেক আগেও আমার সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি আমাকে বলেছিলেন, তিনি আরও একটি সিনেমা নির্মাণ করতে চান; আমাকেও চিত্রনাট্য পাঠিয়েছিলেন। আমার কাছে চিত্রনাট্যটি এখনো আছে। ‘হঠাৎ বৃষ্টি’র পর তার সঙ্গে আমার আত্মিক সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায়।”
উল্লেখ্য, ‘চিত্রনাট্য ও অন্যান্য প্রসঙ্গ’ শীর্ষক প্রকাশিত বইয়ে ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ সিনেমার পূর্ণাঙ্গ চিত্রনাট্য ছাড়াও লিখেছেন বাসু চ্যাটার্জির মেয়ে জুন মালিহা, প্রিয়াংকা, শ্রীলেখা মিত্র, নচিকেতা প্রমুখ।