মডেল মেঘনা আলম
নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে নানা হিসাব। এরই মধ্যে ভিন্ন এক ঘোষণায় আলোচনায় এলেন মডেল মেঘনা আলম। আসন্ন সংসদ নির্বাচনে মডেল মেঘনা আলম ঢাকা-৮ এর প্রার্থী হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।
ঢাকা ৮ নির্বাচনী আসন নিয়ে ইতিমধ্যেই অনেক সোরগোল চলছে দেশজুড়ে। ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদীর এই আসন থেকেই নির্বাচন করার কথা ছিল। আবার ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েমকে ঢাকা ৮ থেকে নির্বাচন করতে দেখা যেতে পারে এমন সংবাদও এসেছে কিছু গনমাধ্যমে।

নিজের ফেসবুক পোস্টে মেঘনা জানান, ঢাকা-৮ আসনকে নারীদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ এলাকা হিসেবে গড়ে তুলবেন। তার ভাষায়, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে বহুবার “দেশকে সিঙ্গাপুর বানানো হবে” ধরনের প্রতিশ্রুতি শোনা গেছে। এ ধরনের কথা শেষ পর্যন্ত ফাঁপাই থেকে গেছে। বাস্তবে একটি দেশকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে হলে প্রয়োজন এমন নেতৃত্ব, যার চিন্তাধারা, শিক্ষা, সামাজিক মেলামেশা এবং মানসিক গঠন বৈশ্বিক পরিবেশে বেড়ে উঠেছে এবং যিনি আন্তর্জাতিক পরিসরে গ্রহণযোগ্য।
তিনি বলেন, তিনি কেবল প্রতিশ্রুতির কথা বলছেন না, বরং বাস্তবসম্মত পরিবর্তনের উদাহরণ হিসেবে নিজেকে সামনে আনতে চান।
মডেল মেঘনা আলম ঢাকা-৮ এ যা করবেন
মেঘনা আলম ঢাকা-৮ এর প্রার্থী হিসেবে আধুনিক ও কার্যকর বিশেষ সিসিটিভি ব্যবস্থা চালু করবেন, যাতে পথ চলাচলের সময় কোনো নারী স্ট্রিট হ্যারাসমেন্ট বা অনাকাঙ্ক্ষিত স্পর্শের শিকার না হন। একই সঙ্গে এলাকায় একটি আলাদা ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা কাঠামো গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি, যাতে মানুষ নিরাপদে হেঁটে চলাচল ও সাইকেল ব্যবহার করতে পারেন।

এছাড়াও, জনস্বার্থে স্বল্প ব্যয়ে পাবলিক ওয়াশরুম ব্যবস্থা চালুর কথাও উল্লেখ করেন তিনি। এসব স্থাপনায় গোসল, ব্রেস্টফিডিং এবং শিশুদের ডায়াপার পরিবর্তনের সুবিধা থাকবে। পাশাপাশি কমিউনিটি লন্ড্রি সিস্টেম চালুর মাধ্যমে বস্তিবাসী, পথচারী ও পার্কে হাঁটতে বের হওয়া সাধারণ মানুষের পরিচ্ছন্ন জীবনযাপন নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
আরও কয়েকটি প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করে মেঘনা আলম বলেন, এমপি হিসেবে নির্বাচিত হলে ঢাকা-৮ এলাকার মানুষের পুষ্টিচাহিদা, পরিচ্ছন্ন জীবনযাপন এবং সামাজিক ও আইনগত সচেতনতা বৃদ্ধিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
মেঘনা আলমের রাজনীতিতে আসার নতুন এই ঘোষণাকে ঘিরে শোবিজ অঙ্গনে আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৯ই এপ্রিল নিজের বাসভবন থেকে গ্রেফতার হল মেঘলা। বিশেষ ক্ষমতা আইনে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিলো। গ্রেফতারের পরে তাকে প্রতারণার মামলা দেখানো হতেছিলো। এর ১৯ দিন পরে ২৯শে এপ্রিল জামিনে মুক্তি পান তিনি।