বাঁধনকে দীপা খন্দকারের খোলাচিঠি
ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তারকারা এখন কেবল নিজেদের কাজের খবর জানানোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নন। ব্যক্তিগত অনুভূতি, চিন্তা ও মূল্যবোধও সেখানে প্রকাশ পাচ্ছে স্পষ্টভাবে। কখনো কখনো সেই প্রকাশই হয়ে ওঠে অনুপ্রেরণার গল্প যা ছড়িয়ে পড়ে ভক্তদের মাঝেও। সাম্প্রতিক সময়ে ঠিক তেমনই একটি ইতিবাচক ও প্রশংসনীয় দৃষ্টান্ত তৈরি করলেন অভিনয়শিল্পী দীপা খন্দকার। আজমেরী হক বাঁধনকে খোলাচিঠি লিখলেন দীপা খন্দকার ।

দীপা খন্দকার ছোট পর্দার পরিচিত ও গুণী অভিনেত্রী। বাস্তবধর্মী অভিনয়, সংযত উপস্থিতি ও চরিত্রের গভীরতা ফুটিয়ে তোলার দক্ষতার জন্য তিনি দর্শকমহলে আলাদা গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করেছেন। নাটক ও টেলিভিশন ফিকশনে নিয়মিত কাজের পাশাপাশি সামাজিক ও মানবিক ইস্যুতেও সচেতন কণ্ঠ হিসেবে তিনি পরিচিত। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তার অভিনীত একাধিক নাটক ও বিশেষ কাজ প্রশংসা কুড়িয়েছে, যেখানে নারীর আত্মপরিচয় ও মানসিক শক্তির বিষয়গুলো গুরুত্ব পেয়েছে।
বাঁধনকে খোলাচিঠিতে যা লিখলেন দীপা খন্দকার
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অভিনেত্রী আজমেরি হক বাঁধনকে উদ্দেশ্য করে একটি খোলা চিঠি লিখেছেন দীপা খন্দকার। নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘বাঁধন, ছবিগুলোতে তোমাকে এত বেশি সুন্দর লাগছে যে নারী হিসেবে আমার হিংসা হওয়া উচিত। কিন্তু তা হচ্ছে না। বরং কেন জানি খুব ভালো লাগছে। মনে হলো মানুষ আসলে চাইলেই পারে বারবার উঠে দাঁড়াতে আর সেটা সবচেয়ে বেশি তুমি। কাউকে হেরে যেতে দেখার চেয়ে জিতে যাওয়া দেখলে নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাসটাও বাড়তে থাকে।“

দীপা আরও জানান, “কথাগুলো বাঁধনকে ফোনে বলতে চেয়েছিলাম, পরে মনে হলো পাবলিকলিই বলি। কারও ভালো তো সাধারণত আমরা বলতে চাই না। তাই ভালোর চর্চাটাই শুরু করি।’
বাঁধনকে খোলাচিঠি লিখলেন দীপা খন্দকার যা কেবল দুই অভিনেত্রীর পারস্পরিক সৌহার্দ্যই তুলে ধরেনি বরং সমাজের জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়েছে। পাবলিক প্ল্যাটফর্মে একে অন্যের সাফল্যকে স্বীকৃতি দেওয়া, ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করা এবং নারী হিসেবে আরেক নারীর শক্তি ও সৌন্দর্যকে উদযাপন করা এগুলো সামাজিকভাবে অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর চর্চা। এতে প্রতিযোগিতার বদলে সহযোগিতা, ঈর্ষার বদলে অনুপ্রেরণার সংস্কৃতি গড়ে ওঠে।
শোবিজ অঙ্গনে যেখানে নেতিবাচক আলোচনা ও বিতর্ক প্রায়ই শিরোনাম দখল করে, সেখানে দীপা খন্দকার ও আজমেরী হক বাঁধনের এই ইতিবাচক যোগাযোগ প্রমাণ করে প্রশংসা ও সম্মান প্রকাশ করাও হতে পারে খবরের কেন্দ্রবিন্দু। আর এমন উদাহরণ সমাজে যত বাড়বে, ততই বাড়বে সুস্থ মানসিকতা ও ইতিবাচক পরিবর্তনের পথচলা।