ফিলিস্তিনী নাদিন আইয়ুব
এবারের ৭৪তম মিস ইউনিভার্সে প্রথমবারের মতো অংশ নিয়েছে ফিলিস্তিন। ১২০ জন প্রতিযোগির সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন নাদিন আইয়ুব। বুধবার জাতীয় পোশাক বিভাগে মঞ্চে উঠেছিলেন তিনি। সেখানে ফিলিস্তিনের ঐতিহ্যবাহী ‘শাতওয়া’ মাথার মুকুট পরেছেন। গাউনে ছিল ফিলিস্তিনের শান্তির প্রতীক হিসেবে জলপাইগাছের মোটিফ। এই পোশাকেই মিস ইউনিভার্স আসরকে আবেগে-ইতিহাসে ভাসালেন ফিলিস্তিনী নাদিন ।

ইনস্টাগ্রামে, আইয়ুব শেয়ার করেছেন যে “যা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বহন করে” এমন একটি গাউন পরে মঞ্চে পা রাখা তার জীবনের সবচেয়ে অর্থপূর্ণ মুহূর্তগুলির মধ্যে একটি ছিল।
এই লুকে ছিল শাতওয়া’-অনুপ্রাণিত একটি মুকুট, যা শান্তি ও আত্মীয়তার প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত, সাথে জলপাই গাছের নকশা আর একটা চাবি যা তার বাড়ির কথা মনে করিয়ে দেয়।

তার কাঁধে মোড়ানো, একটি হাতে আঁকা কেপ আল-আকসা মসজিদ এবং পবিত্র সমাধির গির্জার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে, যা সহাবস্থানের প্রতি ইচ্ছাকৃত ইঙ্গিত। আর এতেই আবেগে-ইতিহাসে ভাসালেন ফিলিস্তিনী নাদিন ।
তিনি বলেন “এটি কেবল আমার জন্য একটি পোশাক ছিল না। এটি ছিল আমার ঐতিহ্য, আমার কণ্ঠস্বর এবং আমার হৃদয়,”।

প্রতিটি সেলাই তাত্রীজ শিল্প, ফিলিস্তিনি নারীদের গল্প, হাত এবং হার না মানা থেকে এসেছে। জলপাই গাছ শান্তি এবং আত্মীয়তার প্রতীক, যার একটি চাবি আমাকে বাড়ির কথা মনে করিয়ে দেয়।‘

নাদিন আইউবের জন্ম ফিলিস্তিনের রামাল্লায়। তিনি একজন স্বীকৃত ফিটনেস ও পুষ্টিবিদ। পড়াশোনা করেছেন সাহিত্য ও মনোবিজ্ঞানে। তাঁর বাবা একজন আইনজীবী, মা শিক্ষক। তিনি বেশির ভাগ সময় ফিলিস্তিন, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় কাটিয়েছেন। বর্তমানে তিনি রামাল্লা, দুবাই ও আম্মানে থাকেন।

মাতৃভূমির প্রতি টান থেকে বারবার রামাল্লায় ছুটে যান নাদিন। সেখানে তিনি ‘সাইয়্যেদাত ফিলিস্তিন’ নামের একটি দাতব্য সংস্থার সঙ্গেও কাজ করেন। সংস্থাটি নারীর ক্ষমতায়ন ও নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে কাজ করে।
২০২২ সালে মিস প্যালেস্টাইন নির্বাচিত হন নাদিন। এই বছর আবারও মিস প্যালেস্টাইন নির্বাচিত হয়ে মিস ইউনিভার্সের চূড়ান্ত আসরে অংশ নিয়েছেন তিনি।