মুম্বাইয়ে অনলাইন ট্রেডিং প্রতারণার নতুন একটি ঘটনায় নাম জড়িয়ে গেল জনপ্রিয় বলিউড গায়িকা নেহা কক্কড়ের। নেহার ছবি ও নাম ব্যবহার করে প্রচার চালানো একটি ভুয়া ট্রেডিং ওয়েবসাইটের ফাঁদে পড়ে এক আইনজীবী হারিয়েছেন ৫ লক্ষ টাকা। বিষয়টি এখন উয়োরলি পুলিশের তদন্তাধীন।
অভিযোগকারী আইনজীবী শবনম মোহাম্মদ হুসেন সইদ জানান, চলতি বছরের জুন মাসে নেটমাধ্যমে একটি ভিডিও দেখেন যেখানে নেহা কক্কড়কে ওই ট্রেডিং ওয়েবসাইটের প্রচার করতে দেখা যায়। ভিডিওতে দাবি করা হয়েছিল ওয়েবসাইটটি নাকি “বিশ্বস্ত ও বৈধ”। গায়িকার পরিচিত মুখ দেখে বিশ্বাস করে শবনম যোগাযোগ করেন ওয়েবসাইটের দেওয়া একটি আন্তর্জাতিক নম্বরে। বিজয় ও জিমি ডি’সুজ়া নামে দুই ব্যক্তির সঙ্গে কথা হয় তার যারা বড় অঙ্কের লাভের আশ্বাস দিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলতে বলেন।
১৮ জুন শবনম নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ৫ লক্ষ টাকা পাঠান। নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও প্রতিশ্রুত রিটার্ন না পেয়ে পুরো বিষয়টি প্রতারণা বুঝতে পেরে তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে জানা গেছে, নেহা কক্কড়ের নাম ও ছবি বেআইনি ভাবে ব্যবহার করেছে ওয়েবসাইটটি গায়িকা আসলে এর সঙ্গে কোনভাবে যুক্ত নন।
নেহার পক্ষ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে আগেও একাধিক তারকার ছবি ও পরিচিতি ব্যবহার করে অনলাইন আর্থিক প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে, যা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
উল্লেখ্য ,নেহা কক্কড় ভারতীয় সংগীতজগতের এক উজ্জ্বল নাম,যিনি নিজের শক্তিশালী ভোকাল, আধুনিক স্টাইল ও প্রাণবন্ত পারফরম্যান্সের মাধ্যমে অল্প সময়েই বলিউডে শীর্ষস্থান দখল করেছেন। ছোটবেলা থেকেই স্টেজে গান গাওয়া শুরু করেন নেহা। পরবর্তীতে ২০০৬ সালে ইন্ডিয়ান আইডল এর প্রতিযোগী হিসেবে জাতীয় পরিচিতি পান। আজ সেই একই শো তে তিনি বিচারকের আসনে বসেন যা তার সাফল্যের যাত্রাকে আরও বিশেষ করে তোলে। “কালা চশমা”, “আঁখ মারে”, “ও সাকি সাকি”, “দিলবর”, “গার্মি”, “কুছ কুছ” এর মতো অসংখ্য সুপারহিট গানের মাধ্যমে তিনি বলিউডে নিজের শক্ত অবস্থান তৈরি করেছেন। তার কণ্ঠে থাকে এনার্জি, মেলোডি এবং ভোকাল টেক্সচারের একটি আলাদা ঝলক, যা দ্রুত শ্রোতার মনে জায়গা করে নেয়।