কাশ্মীরে আলো ছড়াচ্ছে বাংলাদেশের সিনেমা
ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরে চলছে ‘কাশ্মীর ওয়ার্ল্ড ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’-এর পঞ্চম আসর। পহেলা নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব চলবে আগামী ৭ নভেম্বর পর্যন্ত। এ আসরে মিসর, জার্মানি, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরান ও ভারতের চলচ্চিত্র’। কাশ্মীর ওয়ার্ল্ড ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ‘নয়া মানুষ’ , যা এই উৎসবে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে অংশ নিচ্ছে।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) প্রদর্শিত হবে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ‘নয়া মানুষ’। নদীমাতৃক বাংলাদেশের প্রান্তিক চরের মানুষের জীবনযাপন ও মানবিকতাকে উপজীব্য করে নির্মিত এ চলচ্চিত্রটি। দেশে মুক্তির প্রায় এক বছর পর ‘কাশ্মীর ওয়ার্ল্ড ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’-এর পঞ্চম আসরে স্থান পেয়েছে এটি। আ. মা. ম. হাসানুজ্জমানের লেখা ‘বেদনার বালুচরে’ উপন্যাস অবলম্বনে চলচ্চিত্রটির সংলাপ ও চিত্রনাট্য লিখেছেন মাসুম রেজা। সিনেমায় অভিনয় করেছেন রওনক হাসান, মৌসুমী হামিদ, আশিস খন্দকার, ঝুনা চৌধুরী, শিখা কর্মকার, নিলুফার ওয়াহিদসহ অনেকেই।

ধর্মীয় উন্মাদনার বিরুদ্ধে বার্তা দিচ্ছে ‘নয়া মানুষ’: গল্পকার
উৎসবে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে গল্পকার আ. মা. ম. হাসানুজ্জামান বলেন, ‘আমি যখন গল্পটি লিখি তখন এতো চিন্তা করে লিখিনি। কিন্তু চলচ্চিত্রটি দর্শক দেখার পর যে ভালবাসা পাচ্ছি তা অকল্পনীয়। বিভিন্ন উৎসবে অংশগ্রহণ করছে, ধর্মীয় উন্মাদনার বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করছে, শান্তির বার্তা দিচ্ছে, ধর্মের মূল দর্শন তুলে ধরছে এটি। ভালো লাগছে।’

নির্মাতা সোহেল রানা বয়াতি বলেন, ‘আমার প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র এটি। কাশ্মীর উৎসবে বাংলাদেশের একমাত্র ছবি হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করছে সিনেমাটি। আমি বিশ্বাস করি আমাদের চলচ্চিত্র ধীরে ধীরে মানুষের অন্তরে স্থান করে নিবে।’
চাঁদপুরের দুর্গম কানুদীর চরে চিত্রগ্রহণ করা হয়েছে চলচ্চিত্রটির। চিত্রগ্রহণ পরিচালনা করেছেন কমল চন্দ্র দাস। ২০২৪ সালের ৬ ডিসেম্বর মৌসুমী হামিদ অভিনীত চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়। দর্শক ও সমালোচকদের কাছ থেকে প্রশংসা কুড়ায় সিনেমাটি।