কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানো হবে ৩৯ দেশের ২১৫ ছবি
জাঁকজমক আয়োজনে ৬ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের ৩১তম আসর। ৩৯টি দেশ থেকে ২১৫টি ছবি প্রদর্শিত হবে। তালিকায় রয়েছে গুয়াতেমালা, প্যালেস্টাইন, কাজাখাস্তান, সৌদি আরব, কিউবা, সুদান, মিশর, আর্মেনিয়া, মরোক্কোর ও ইরাকের মতো দেশ। কিন্তু কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে নেই প্রতিবেশী বাংলাদেশের নাম।

বাংলাদেশি ছবি বাদ যাওয়া নেপথ্যে কি রাজনৈতিক অস্থিরতা?
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা। ভারতে থেকে বিভিন্ন সময়ে অডিও বক্তব্য দিয়েছেন। শেখ হাসিনার এসব বক্তব্যকে উসকানিমূলক হিসেবে দেখেছে বাংলাদেশ সরকার। ফলে প্রভাব পড়ে দুই দেশের সম্পর্কে। অনেকের ধারণা, দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণেই হয়তো বাংলাদেশি চলচ্চিত্র বাদ পড়েছে।
এ বছর উৎসবের সূচি প্রকাশিত হওয়ার পর দেখা যায়, কোনো বিভাগেই বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের উপস্থিতি নেই। অথচ বাংলাদেশি পরিচালক থানবীর চৌধুরীর ‘‘কাফ্ফারাহ’’ এই বছর আন্তর্জাতিক বিভাগে জমা পড়েছিল।

জুরি কমিটির এক সদস্য পিটিআই-কে বলেন, “আন্তর্জাতিক বিভাগে বাংলাদেশ থেকে শুধুমাত্র একটি ছবি জমা পড়ে। তানভীর চৌধুরীর ‘কাফ্ফারাহ’ কিন্তু এটি আমাদের কাঙ্ক্ষিত মানদণ্ড পূরণ করতে পারেনি। ফলে চলচ্চিত্র উৎসবে ছবিটি জায়গা পায়নি। আমাদের জন্য এই সিদ্ধান্ত সহজ ছিল না।”
এর আগে, ২০২২ সালে যৌথভাবে উৎসবের সেরা সিনেমা নির্বাচিত হয়েছিল মুহাম্মদ কাইউমের ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’। এছাড়া ২৬তম আসরে এশিয়ান সিলেক্ট- নেটপ্যাক পুরস্কার পেয়েছিল রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিতের ‘নোনা জলের কাব্য’। সর্বশেষ ২০২৩ সালে কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলাদেশের তিনটি সিনেমা দেখানো হয়েছিল।