প্রয়াত হলেন বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা
দীর্ঘদিন অসুস্থতার পর সোমবার ৮৪ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা গোবর্ধন আসরানি। সান্তাক্রুজ শ্মশানে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে।
মৃত্যুর মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে, অভিনেতা তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অ্যাকাউন্টে ভক্তদের দীপাবলির শুভেচ্ছা জানিয়ে একটি পোস্ট করেছিলেন। তিনি ছিলেন ভারতীয় চলচ্চিত্রের অন্যতম জনপ্রিয় ও দীর্ঘস্থায়ী কৌতুক অভিনেতা।
গোবর্ধন আসরানি ও তার ক্যারিয়ার
পাঁচ দশকেরও বেশি দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি ৩৫০টিরও বেশি ছবিতে কাজ করেছেন। ১৯৬০ এর দশকের মাঝামাঝি হিন্দি চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশের আগে তিনি পুণেরফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন, যেখানে তিনি তার অভিনয় দক্ষতা আরো উন্নত করেন।
গোবর্ধন আসরানি কর্মজীবনের শুরুতে গুরুতর ও পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করলেও, খুব শীঘ্রই তার কৌতুক প্রতিভা প্রকাশ পায়। ১৯৭০ এবং ১৯৮০ এর দশকে তিনি হিন্দি সিনেমার এক অপরিহার্য মুখ হয়ে ওঠেন।
এই সময়ে তিনি প্রায়শই স্নেহময় নির্বোধ, উদ্বিগ্ন কেরানি অথবা চতুর পার্শ্বচরিত্রের ভূমিকায় অভিনয় করতেন। তার ত্রুটিহীন সময়জ্ঞান এবং অভিব্যক্তিপূর্ণ মুখ তাকে পরিচালকদের কাছে প্রিয় করে তুলেছিল।
গোবর্ধন আসরানি ও হিটলার
‘শোলে’, ‘চুপকে চুপকে’র মতো আরো অনেক ক্লাসিক ছবিতে তার অভিনয় তাকে অভিনয় জগতে এক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বে পরিণত করে। হিন্দি সিনেমার মাইলফলক ছবি ‘শোলে’-তে হিটলারের অনুকরণকারী ভোলাভালা জেলারের চরিত্রে তার অভিনয় ছিল অন্যতম স্মরণীয়।
এই চরিত্রটি ভারতীয় পপ-সংস্কৃতির একটি অমর অংশ হয়ে আছে। গোবর্ধন আসরানি গুজরাটি এবং রাজস্থানি ছবি সহ বিভিন্ন ভাষা ও ঘরানায় কাজ করে তার বহুমুখিতা প্রমাণ করেছেন। এমনকি তিনি কিছু হিন্দি ও গুজরাটি সিনেমা পরিচালনার ঝুঁকিও নিয়েছিলেন। তিনি মেহমুদ, রাজেশ খান্না এবং পরবর্তীকালে গোবিন্দার মতো অভিনেতাদের সঙ্গে স্মরণীয় কৌতুক জুটি গড়ে তোলেন, যা বলিউডে কৌতুকের বিভিন্ন প্রজন্মকে সংযুক্ত করেছিল।
কৌতুকের বাইরেও, আসরানি মাঝে মাঝে ‘আজ কি তাজা খবর’ এবং ‘চলা মুরারি হিরো বন্নে’-র মতো ছবিগুলোতে তার নাটকের ক্ষমতা দেখিয়েছেন, যেখানে তিনি পরিচালনার দায়িত্বও নিয়েছিলেন।