১০ বছর পর মুক্তি পেয়েছে দেব ও শুভশ্রী জুটির সিনেমা‘ধূমকেতু’। দেব ও শুভশ্রী জুটির কামব্যাক বেশ ভালোই সাড়া ফেলেছে প্রেক্ষাগৃহে। ১৪ আগস্ট মুক্তি পাওয়া এ ছবি মুক্তির আগে থেকেই অ্যাডভান্স বুকিং ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রথম দিনে প্রায় ২ কোটির বেশি আয় হয়েছিল।
চার দিনে প্রায় ১০ কোটির বেশি টাকা ঘরে তোলে এই ছবি। ছবির আয় নিয়ে প্রযোজক রানা সরকার একটা পরিষ্কার চিত্র তুলে ধরলেন সোশ্যালে।
তিনি পোস্টে লিখলেন, ‘ধূমকেতুর বক্স অফিস নিয়ে যাদের অঙ্ক কঠিন হচ্ছে তাদের জন্য কিছু তথ্য: প্রথম সপ্তাহে ন্যাশানাল মাল্টিপ্লেক্সে ২৩টি। মোট শো সংখ্যা ৮৪টি।
অন্য মাল্টিপ্লেক্স, ডাবল স্ক্রিন ও সিঙ্গেল স্ক্রিন মিলিয়ে ১৩৪টি। অতএব মোট শো সংখ্যা ৪৭৩টি। ধূমকেতু ১৪ আগস্ট রিলিজ হয়েছিল মোট ৪৭৪টি শো নিয়ে। হিন্দি ছবি না চলায় শো বেড়ে হয়েছিল ৫৫৬টি।
সব মিলিয়ে ধূমকেতুর প্রথম সপ্তাহের বক্স অফিস থেকে আয় ১৫.২৪ কোটি। এটাই বাংলা ছবির সবচেয়ে আয় এখন পর্যন্ত।’
তিনি আরো লেখেন, ‘ন্যাশানাল মাল্টিপ্লেক্স চেন ও নন-মাল্টিপ্লেক্স হলগুলিতে বাংলা সিনেমার অতীতে যা বক্স অফিস কালেকশনের যে অনুপাত ছিল সব হিসেব ভেঙে দিয়েছে ধূমকেতু ও দেব-শুভশ্রী জুটি। যারা এনএমসি বক্স অফিস কালেকশন ডেটা নিয়ে লাফালাফি করছেন তাদের অনুরোধ বাকি ১৩৪টি নন-মাল্টিপ্লেক্স এবং সিঙ্গল স্ক্রিনের বক্স অফিস কালেকশন অনুমান করার চেষ্টা করতে পারেন, কিন্তু পারবেন না। কারণ ইতিহাস যখন তৈরী হয় তখন কোন হিসেব বা ফর্মুলা মেনে তৈরি হয় না… সবটাই সময়।
এরপর প্রযোজক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে লেখেন, ‘মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী ও মাননীয় মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের হস্তক্ষেপে বাংলা সিনেমাকে শো দেওয়ার ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নির্দেশের ফলে আজ প্রমাণিত হল সারা বাংলা জুড়ে একটা বাংলা সিনেমা যা ব্যবসা করতে পারে সেটা ন্যাশনাল মাল্টিপেক্সের থেকে অনেক গুণ বেশি। সবার ওপরে দর্শকের আশীর্বাদ। ‘ধূমকেতু’ যে ইতিহাস তৈরি করল সেটা বাংলা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিকে অনেকগুণ এগিয়ে দিল।’
এরপর রানা তার আর একটি ছবির উল্লেখ্য করে লেখেন, ‘‘যারা এখনও অঙ্ক মেলাতে পারছেন না তাদের অনুরোধ হইচইয়ে ‘অঙ্ক কী কঠিন’ সিনেমাটি দেখে ফেলুন, মন শান্ত হবে।‘