আসন্ন ঈদুল ফিতরের একটি সিনেমায় কাজ করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন শাকিব খান। আনুষ্ঠানিক কর্মকাণ্ড ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। ছবিটির প্রযোজক শিরিন সুলতানা এই প্রথমবার কোন চলচ্চিত্র প্রযোজনায় এসেছেন। তবে ছবিটির শুটিংয়ের আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর শরণাপন্ন হয়েছেন তিনি।
জানা গেছে, নতুন প্রযোজকদের সিনেমা নির্মাণে নানা ধরণের প্রশাসনিক ও বাস্তব প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়। সেই জটিলতা নিরসনে আগেভাগেই সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলকে অবহিত করার উদ্দেশ্যেই এই সাক্ষাৎ।
সাক্ষাতে সিনেমা নির্মাণ ও মুক্তির সময়ের সম্ভাব্য বাধা, পাইরেসি ও নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং প্রয়োজনীয় সহায়তার আশ্বাসও দেন।
সিনেমাটির গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছেন মেজবাহ উদ্দিন সুমন, যার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন। যদিও সিনেমার নাম এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
সিনেমার নাম চূড়ান্ত না হলেও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানসূত্রে জানা যায়, নব্বই দশকে ঢাকার আন্ডারওয়ার্ল্ডে রাজত্ব করা এক শীর্ষ সন্ত্রাসী কালা জাহাঙ্গীরের জীবনের নানা বিষয়ও উঠে আসবে এতে।
প্রযোজক শিরিন সুলতানা শাকিব খানকে নিয়ে প্রথম ছবি প্রযোজনা করতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘মেগাস্টার শাকিব খানকে নিয়ে আমার প্রথম ছবি। প্রযোজক হিসেবে এই প্রথম ইন্ডাস্ট্রিতে আসছি, আমার অনুভূতি খুবই চমৎকার যে শাকিব খানকে নিয়ে ছবিটা আমি করতে পারছি।‘
শাকিব খানকে বেছে নেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি আরও বলেন, ‘আসলে শাকিব খান এজন্যই যে, আমরা মনে করি যে শাকিব খান মানেই ছবি-সিনেমা হিট। অবশ্যই উনার যথেষ্ট সাধনা, যথেষ্ট প্রচেষ্টায় আজকে এ জায়গায় এসেছেন।’
গল্পের সঙ্গে শাকিব খান দারুণ মানানসই বলেও জানান এই নতুন প্রযোজক। তার কথায়, ‘আসলে আমাদের যে গল্প সে গল্পের সাথে শাকিব খানকে একদম ভালো যাচ্ছে। আমাদের চিন্তা-চেতনায় আমরা ভাবছি উনি খুব ভালো করবেন। সে জায়গা থেকে আমরা ভেবেছি। বুঝতেই পারছেন শাকিব খানের সঙ্গে ছবি করার আগ্রহ সবারই থাকে।’
তবে, এই সিনেমার গল্প নিয়ে ইতোমধ্যে প্রশ্ন তুলেছেন বেশ কয়েকজন সিনেমাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। শীর্ষ সন্ত্রাসীদের মহান করে তোলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তারা।