রাজধানীর উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ই-কর্মাস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সাবেক সভাপতি ও অভিনেত্রী শমী কায়সারকে।
৫ নভেম্বর দিবাগত রাতে উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরের ৬ নম্বর সড়কের একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছেন উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান। তিনি জানান, এই গ্রেপ্তারের পেছনে রয়েছে একটি হত্যাচেষ্টা মামলা!
তবে কোন হত্যাচেষ্টা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে এই বিষয়টি এখনো স্পষ্টত জানা যায়নি।
একটি সূত্রের তথ্যানুযায়ী, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় একজন আহত হওয়ার ঘটনায় শমী কায়সারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল এবং হত্যাচেষ্টা মামলা করা হয়েছিল। এই মামলার কারণেই পুলিশ ৫ নভেম্বর রাতে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেন শমীকে।
আরেকটি সূত্র থেকে আবার জানা গেছে, ২০২২ সালের জুন মাসে এক বিএনপি কর্মীকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অভিনেত্রী শমী কায়সার, কণ্ঠশিল্পী ও সাবেক সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম, সাবেক মন্ত্রী তারানা হালিম এবং আরও ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সেজন্যই অভিনেত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে গ্রেপ্তারের পর শমী কায়সারকে রাতে উত্তরা পূর্ব থানার হেফাজতে রাখা হয়।
উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশের নাটক ও চলচ্চিত্র জগতের দর্শক নন্দিত তারকা শমী কায়সার। পরবর্তীতে অভিনয় ও মডেলিংয়ের পাশাপাশি তিনি প্রযোজনায়ও নাম লেখান। তার আরেক পরিচয় হলো- তিনি শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লা কায়সার ও লেখক, গবেষক, শিশু সংগঠক, সাবেক সংসদ সদস্য পান্না কায়সার দম্পতির সন্তান।
আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন শমী। তিনি আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ছিলেন। ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনী-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েও পাননি এ অভিনেত্রী।
এছাড়াও শমী দীর্ঘদিন থেকেই ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সভাপতি ছিলেন। আরও হয়েছিলেন এফবিসিসিআই পরিচালকও। তবে ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে ১৪ অগাস্ট ই-ক্যাব সভাপতির পদ ছাড়েন শমী কায়সার।