১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪। আজ জীবনের ৩০তম বসন্তে পা রেখেছেন জনপ্রিয় কেপপ ব্যান্ড বিটিএসের লিড র্যাপার আরএম ওরফে কিম নামজুনের।
১৯৯৪ সালের আজকের দিনে দক্ষিণ কোরিয়ার দোংজাক-গু-তে জন্ম তার। বিটিএসের অন্যতম সদস্য তিনি। বিটিএস ভক্তদের ভাষ্য, বয় ব্যান্ডটির মধ্যে সবচেয়ে মেধাবী নামজুন। সেখানে একজন সাধারণ মানুষের আইকিউ থাকে ১০০ সেখানে আরএমের আইকিউ ১৪৮!
ছোট বেলা থেকেই হিপহপ কালচার নিয়ে আগ্রহী নামজুন মাত্র ১৩ বছর বয়সে যোগ দেন আন্ডারগ্রাউন্ড র্যাপার হিসেবে। ২০১৩ সালে ব্যাং সি-হিউকের হাত ধরে পা রাখেন কে-পপের দুনিয়ায়। পরিচিতি পান কোরিয়ান বয় ব্যান্ড বিটিএসের লিডার হিসেবে।
শুধু তাই নয়, কিম নামজুন একাধারে একজন র্যাপার, সুরকার, লিরিসিস্ট। ইতোমধ্যে নিজের যোগ্যতা দিয়ে সারাবিশ্বের অসংখ্য ভক্তের মন জয় করে নিয়েছেন। চলুন জনপ্রিয় এই র্যাপারের বিশেষ দিনে জেনে আসি তার কিছু গুণ সম্পর্কে।
কবিতা —
অনেকেই জানেন না আরএম এক সময় দারুণ দারুণ সব কবিতা লিখতেন। লিরিক্স নিয়ে কাজ শুরুর আগে ছোট আরএম বা কিম নামজুন কবিতা লিখতেন। তার ছন্দময় লিরিক লেখার গুণটি কবিতা লেখার অভ্যাস থেকেই এসেছে।
র্যাপ —
পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়ে একজন র্যাপার হিসেবে কাজ শুরু করা কারো পক্ষে সহজ কাজ নয়। কারণ ছোট থেকেই তিনি মেধাবী ছিলেন এবং তার পরিবার সেটা জানতো। তাছাড়া আইকিউতে দারুণ স্কোর করে দক্ষিণ কোরিয়ার সবচেয়ে মেধাবীদের একজন হিসেবে জায়গা করে নিয়েছিলেন তিনি। এ কারণে পারিবারিক বাধাটা আরও বড় হয়ে দাঁড়িয়েছিল তার জন্য। তবে, শেষ পর্যন্ত তার দৃঢ় সংকল্পের কাছে হার মানে পরিবার। বর্তমানে বিশ্বের সেরা কয়েকজন র্যাপারে নাম নিলে কিম নামজুনের নাম আসবেই।
সংগীত –
বিটিএসের ৭ জনের একজন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার বহু বছর আগে থেকে সংগীত নিয়ে অসংখ্য কাজ করেছেন আরএম। তিনি নানা ধরনের বাদ্যযন্ত্র বাজাতেন। কাজ করেছেন একাধিক সংগীত গ্রুপের সঙ্গে। তার আগের একাধিক দলের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা তার হিপহপ শৈলী প্রদর্শনে অনেক সহায়ক হয়েছে। যা দিয়ে তিনি বাকি ছয় বিটিএস সদস্যকে আরও উন্নত করেছেন। ফলে, বিটিএস যেসব অ্যালবাম প্রকাশ করেছে তাতে আর এমের কৃতিত্বের কথা উল্লেখ করা হয়েছে সব সময়।
শিল্প —
আরএম যেমন তার প্রতিভাকে বিকশিত করেছেন তেমনি বিভিন্ন ধরণের শিল্প ফর্ম নিয়েও তার বোঝাপড়া চমৎকার। তার মধ্যে সবসময় চিত্রশিল্পী, ভাস্করসহ বিশ্বের শিল্পীদের সম্পর্কে জানার আগ্রহ ছিল। তিনি বারবার তাদের প্রশংসা করেছেন। নিজেকে সবসময় শিল্পের সঙ্গে রেখেছেন। আরএম অসংখ্য চিত্রকর্ম সংগ্রহ করেছেন। প্রায়সই তাকে দেখা যায় বিশ্বের বিভিন্ন গ্যালারি ও যাদুঘর পরিদর্শন করতে। ভক্তদের কাছে শিল্প সংগ্রাহক হিসেবেও পরিচিত।
অর্জন —
গ্রুপ ভিত্তিক র্যাপের পাশাপাশি আরএম ২০১৫ সালে নিজের প্রথম মিক্স অ্যালবাম ‘আর এম’ বের করেন। যেটি সেই বছরের সেরা ৫০ হিপহপ এলবাম এর মধ্যে ৪৮তম হয়েছিল। তার একক অ্যালবাম ‘মোনো’ এশিয়ার মধ্যে প্রথম এবং একমাত্র অ্যালবাম হিসেবে বিশ্বের ১১৮টি দেশের আইটিউনসে এ ১ম স্থান অর্জন করে। বিটিএস এর নামজুন হলো সবচেয়ে কমবয়সী কোরিয়ান শিল্পী যার নামে ১৬২টি গান কেওএমসিএ ওরফে কোরিয়ান মিউজিক কপিরাইট অ্যাসসিয়াশন দ্বারা স্বীকৃত।
লেখা: নূফসাত নাদ্বরুন