টালিউড সুপারস্টার দেবের বিপরীতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নির্মাতা অভিজিৎ সেনের পরিচালনায় ‘প্রতীক্ষা’ সিনেমাটি করছেন না ঢাকার অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ। তবে কেন?
ওপার বাংলার সিনেমা না করা প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে ফারিণ জানিয়েছেন, ‘নানা অনিশ্চয়তার কারণেই সিনেমাটি থেকে সেরে এসেছি। রবিবার ( ৮ সেপ্টেম্বর) রাতে ছবির প্রযোজক অতনু রায় চৌধুরীর সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে আলাপ করার পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আপাতত সিনেমাটিও হচ্ছে না।’
কেন হচ্ছে না—জানতে চাইলে অভিনেত্রী বলেন, ‘আওয়ামী সরকার পতনের পর বাংলাদেশ থেকে ভারতের ভিসা জটিলতা তৈরি হয়েছে। ভিসা পেতে সময় লাগছে। নির্ধারিত নভেম্বর মাসে শুটিং শুরু করা না গেলে সমস্যা। কারণ, ওই সময় শুটিং শুরু করা না গেলে দেব ও মিঠুন চক্রবর্তীর শিডিউল পাওয়া যাবে না। কিন্তু সঠিক সময়ে বাংলাদেশ থেকে ভিসা পাওয়াও অনিশ্চিত। এসব কারণে ছবিটিতে কাজ করা হচ্ছে না।’
ফারিণের ভাষ্য, ‘ছবিটির কাজ নিয়ে কিছুটা টেনশনেও ছিলাম। কারণ, নভেম্বর থেকে শুটিং শুরু হলে সেপ্টেম্বর থেকে ছবির প্রি–প্রোডাকশনের কাজ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভিসার কারণে প্রি-প্রোডাকশনের কাজে অংশ নিতে সেপ্টেম্বরে ভারতে যাওয়াও অনিশ্চিত ছিল। কারণ, ভিসা পাব কি পাব না, এ নিয়ে চিন্তিত ছিলাম। এ ছাড়া নতুন কাজও হাতে নিতে পারছিলাম না। এখন অন্তত সেই চিন্তা থেকে মুক্ত হলাম।’
ছবিটিতে দেব ও মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে পর্দা ভাগাভাগির সুযোগ হাতছাড়া হওয়াতে আফসোস হচ্ছে কি না, জানতে চাইলে ফারিণ বলেন, ‘অবশ্যই। কারণ, তাদের মতো বড় তারকাদের সঙ্গে কাজ করলে আমার ক্যারিয়ারে একটা প্রভাব তো পড়তই। তবে যেহেতু এর আগে কলকাতার একটি ছবিতে কাজ করেছি। তাদের সঙ্গে একটা জানাশোনা আমার তৈরি হয়েছে। তারা আমার কাজ এখন নিয়মিতই দেখেন। সুতরাং সামনে কোনো একদিন আরও বড় কাজ হতে পারে।’
উল্লেখ্য, ‘প্রতীক্ষা’ ফারিণের দ্বিতীয় কলকাতার সিনেমা যেটিকে না করেছেন তাসনিয়া ফারিণ। এর আগে ‘পাত্রী চাই’ নামে কলকাতার আরেকটি ছবিতে কাজের কথা ছিল ফারিণের। সেটিও গত বছর বাতিল হয়েছে।