২০২৪ সালে মহানায়ক সম্মান পেয়েছেন অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জি ও সংগীতশিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তী। ২৪ জুলাই উত্তমকুমারের ৪৪তম প্রয়াণ দিবসে এ গায়ক সম্মাননা পাওয়ার পর থেকে অনেককেই দেখা যাচ্ছে সমালোচনা করতে। বিষয়টি নিয়ে চুপ করে বসে থাকেননি নচিকেতা।
মূলত ২০১১ সাল থেকে প্রতিবছর প্রদান করা হয় ‘মহানায়ক সম্মান’। বাংলা চলচ্চিত্রের মহানায়ক উত্তমকুমারের স্মরণেই এই সম্মাননার উদ্যোগ। এবছর রচনা ও নচিকেতাকে ২৪ জুলাই নিজ হাতে সম্মাননা প্রদান করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এই আয়োজনের পর থেকেই অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, একজন সংগীতশিল্পী হয়ে কীভাবে এই সম্মাননা পেলেন নচিকেতা!
বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হলে সম্প্রতি নচিকেতা তার অফিশিয়াল সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল ফেসবুক থেকে একটি পোস্ট করে লেখেন, ‘মহানায়ক সম্মান কেবল অভিনয়ের পুরস্কার নয়। মহানায়ক মানে অভিনেতা মহানায়ক নন। মহানায়কের সম্মানে আমায় এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে আমার গোটা জীবনের কাজের জন্য। এটা আমার কাছে বড় প্রাপ্তি।’
এরপরই সমালোচনাকারীদের অশিক্ষিত বলে গায়ক যোগ করেন, ‘কাউকে যদি নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়, তাকে কি বিজ্ঞানী হতে হবে? কিছু অশিক্ষিত মানুষ অনেক রকম কথা বলছেন। তাদের বুঝতে হবে, আমিও ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির লোক। অন্তত ১২টা ছবিতে মিউজিক করেছি। তাহলে আমি কি সেই পুরস্কারটা পেতে পারি না? মহানায়ক পুরস্কার পাওয়ার জন্য আমাকে অভিনেতা হতে হবে, এটা কোথায় লেখা আছে?’
সবশেষে নচিকেতা বলেন, ‘আমার ভাল লাগছে, এটা একটা ট্রেন্ড তৈরি হল। আমি নিজেই একজন ট্রেন্ডসেটার। আমায় দিয়েই তো ট্রেন্ড তৈরি হয়। অন্য কেউ মহানায়ক সম্মান পেলে এত লেখালেখি হত বলে মনে হয় না। কতগুলো অশিক্ষিত লোক বলাবলি করছে, নচিকেতা মহানায়ক পুরস্কার কেন পেল ও তো অভিনয়ই করে না। আসলে আমার জনপ্রিয়তাটা এখনও ৩১ বছর আগের মতোই রয়েছে। আমায় নিয়ে লিখলে ওদের টিআরপি বাড়ে।’
প্রসঙ্গত, ২৬ জুলাই বাংলাদেশে কনসার্ট করার কথা ছিল নচিকেতার। তবে দেশের সার্বিক পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে পিছিয়ে দেয়া হয়েছে কনসার্টটি। নতুন সূচি অনুযায়ী, ৬ সেপ্টেম্বর নচিকেতার এ অনুষ্ঠানের নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।