Chitralee will take you closer to the world of entertainment.
Chitralee will take you closer to the world of entertainment.
রবিবার, নভেম্বর ২৪, ২০২৪

ন্যায্য দাবী আদায়ে আ’ন্দো’ল’নরত শিক্ষার্থীদের হয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অন্য তারকাদের মত আওয়াজ তুলেছেন সংগীতশিল্পী কবির সুমন।

১৮ জুলাই, বৃহস্পতিবার নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে সংগীতশিল্পী লেখেন, ‘আমি ভারতের নাগরিক। বাংলাদেশ আমাদের প্রতিবেশী। তার বিষয়-আশয়ে নাক গলানোর অধিকার আমার নেই। সেটা করতে চাইও না। তবু বাংলাদেশের অনেকের কাছ থেকে যে ভালোবাসা আমি পেয়েছি, তা ভুলে থাকতেও পারছি না। ভুলবই বা কেন? ছবি দেখছি ঢা’কা বি’শ্ব’বি’দ্যা’লয়ের। একটু আগেই দেখলাম। মি’ছি’ল করছেন বি’শ্ব’বি’দ্যা’লয়ের ছা’ত্র’ছা’ত্রী’রা। নেপথ্যে শোনা যাচ্ছে কাজী নজরুল ইসলামের ‘কারার ঐ লৌহকপাট/ভেঙে ফেল্ কর রে লোপাট’! মনে হচ্ছে গানটি এডিট করে বসানো হয়েছে ভিডিওর সঙ্গে। ঠিক কাজই করা হয়েছে। কত সময়ে দেখেছি ঢা’কা বি’শ্ব’বি’দ্যা’লয়ের ছা’ত্র’ছা’ত্রীরা আমার গানের লাইন লিখে দিয়েছেন দেওয়ালে। পশ্চিমবঙ্গে সে তুলনায় কিছুই দেখিনি। বলতে দ্বিধা নেই, মনে মনে আমি বাংলাদেশেরও নাগরিক।’

প্রখ্যাত এই শিল্পী আরও লেখেন, ‘আমার জীবনসায়াহ্ন কাটছে মাভাষায় খেয়াল রচনা করে, গেয়ে, শিখিয়ে। পশ্চিমবঙ্গের সরকার আমার বাংলা খেয়ালকে স্বীকৃতি দিয়েছেন, যদিও তাদের পেটোয়া এক শিল্পী বাংলা খেয়াল নিয়ে এবং সেই সঙ্গে আমায় বিদ্রূপ করেছেন এবং এই রাজ্যের সরকারঘনিষ্ঠ একটি পত্রিকা সেই বিদ্রূপ ও মগজহীন উদ্ভট বক্তব্য ঘটা করে ছাপিয়েছেন—আমার একটি ব্যঙ্গচিত্রসমেত।’

তিনি আরও লেখেন, ‘আমার জীবনের সেরা কাজ এবং আমার জীবনসায়াহ্নের প্রধান কাজ বাংলা খেয়াল বাংলাদেশে চর্চা করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের শিল্পী মরহুম আজাদ রহমান বেশ কিছু বাংলা খেয়াল রচনা করে গিয়েছেন বিভিন্ন রাগে। বাংলা ভাষা আর বাংলা খেয়ালের মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে আমি বাঁধা ভালোবাসার বন্ধনে। গতবার ঢাকায় গানের অনুষ্ঠান করতে গিয়ে যে সম্মান ও ভালোবাসা পেয়েছি, তা ভারতে পেয়েছি ক’বার?’

কবির সুমনের ভাষায় , ‘এহেন আমি বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থায় চুপ করে বসে থাকতে পারি না। থেকেছি কয়েক দিন। আর পারছি না। কিন্তু অবস্থাটা যে ঠিক কী, কী কী কারণে যে এমন হলো এবং হচ্ছে, কারা যে এতে জড়িত তা-ও তো ঠিকমতো জানি না। তা-ও পঁচাত্তর উত্তীর্ণ এই বাংলাভাষী করজোড়ে সব পক্ষকে মিনতি করছি: অনুগ্রহ করে হিংসা-হানাহানি বন্ধ করুন। ঢাকা সরকারকে অনুরোধ করছি: বাংলা ভাষার কসম, শান্তি রক্ষার চেষ্টা অব্যাহত রাখুন। আপনাদের ছাত্রবাহিনী যেন হিংসার আশ্রয় না নেন। আর কী বলি! আমি তো সশরীরে যেতে পারছি না ঢাকায়। পারলে যেতাম। রাস্তায় বসে পড়ে সকলকে শান্তি রক্ষার জন্য আহ্বান করতাম।’

সবশেষে তিনি লিখেন, ‘হা’না’হা’নি বন্ধ হোক। বন্ধ হোক উল্টোপাল্টা কথা বলে দেওয়া। বাঁচুক বাংলাদেশ। বাঁচুন বাংলাদেশের সকলে।’

Share this article
Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Read next

ফের মা হচ্ছেন সানা খান

ভক্তদের দারুণ এক সুখবর দিলেন ইসলাম ধর্মের পথে চলার জন্য বলিউড ত্যাগ করা সানা খান। প্রথম সন্তান জন্মের দেড় বছরের…

চলে গেলেন ‘লাল পাহাড়ির দ্যাশে যা’ গানের স্রষ্টা

২২ নভেম্বর দিবাগত রাতে হৃদ্‌যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ‘লাল পাহাড়ির দেশে যা’ গানের…

হুমায়ূন আহমেদের গল্পে মিঠুন-আফসানা মিমি

দেশীর কিংবদন্তি লেখক হুমায়ূন আহমেদের গল্পে নির্মাতা মানসমুকুল পালের পরিচালনায় একসাথে পর্দায় দেখা যাবে মিঠুন…
0
Share