সাল ২০২৪, ১৪ মে। প্রয়াত বিশ্ব বরেণ্য নির্মাতা মৃণাল সেনের ১০১ তম জন্মবার্ষিকী আজ। বাংলাদেশের ফরিদপুরে জন্ম নেওয়া মৃণাল সেন ছিলেন ধরাবাঁধা সিনেমার গন্ডি পেরিয়ে, সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকার সংগ্রাম, স্বপ্ন, আনন্দ আর প্রতিবাদকে উপাদান করে সিনেমা নির্মাণের কারিগর।
গুণী এই ভারতীয় নির্মাতার জন্ম বাংলাদেশে হলেও দেশভাগের আগে আগেই চলে গিয়েছিলেন কলকাতায়। আর সেখানেই নতুন দেশ, বিচিত্র পরিবেশ আর টিকে থাকার সংগ্রামের ভেতর দিয়ে তিনি হয়ে উঠেছিলেন ভারতীয় সিনেমার অন্যতম সেরা একজন নির্মাতা।
১৯৫৫ সালে মৃণাল সেন পরিচালিত প্রথম সিনেমা ‘রাত-ভোর’ খুব একটা সাফল্যের দেখা না পেলেও তার ‘বাইশে শ্রাবণ’ সিনেমাটি রীতিমত ছিনিয়ে আনে আন্তর্জাতিক পরিচিতি। এরপর নিজের ৯৫ বছরের জীবনদশায় উপহার দিয়েছেন একের পর এক কালজয়ী সিনেমা।
চলুন যেনে আসি প্রখ্যাত ‘কলকাতা ট্রিলজি’ খ্যাত নির্মাতার যে পাঁচ সিনেমা দেখতে পারেন নিজের অবসরে।
‘বাইশে শ্রাবণ’ (১৯৬০):
‘বাইশে শ্রাবণ’ যুদ্ধের পটভূমিতে নির্মিত এমন এক সিনেমা, যা বিশ্বব্যাপী ‘নির্মাতা’ খ্যাতি এনে দিয়েছিল মৃণাল সেনকে।
‘আকালের সন্ধানে’(১৯৮০):
১৯৮০ সালে নির্মিত সিনেমাটিতে ‘তেতাল্লিশের মন্বন্তর’ -এর নিদারুণ যোগসূত্র অন্য মাত্রার নিয়ে গিয়েছিল ‘অকালের সন্ধানে’-কে। অমলেন্দু চক্রবর্তীর গল্প অবলম্বনে নির্মিত ছবিটিতে অভিনয় করেছেন ধৃতিমান চ্যাটার্জি, স্মিতা পাতিল।
‘ইন্টারভিউ’ (১৯৭১):
‘কলকাতা’ ট্রিলজির প্রথম ভাগ ছিলো এই ছবি। এখানে অভিনয় করেছিলেন রঞ্জিত মল্লিক। ‘ইন্টারভিউ’ সিনেমায় উঠে এসেছে পশ্চিমবঙ্গের উত্তাল দিনগুলোর গল্প।
‘কলকাতা ৭১’ (১৯৭২):
কলকাতার আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক পটপরিবর্তন, খাদ্যসংকট, সত্তরের নকশাল আন্দোলন উঠে এসেছে ছবিতে। এটি চারটি আলাদা গল্পের সমষ্টি। সমরেশ বসু, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রবোধ সান্যাল ও মৃণাল সেনের গল্প অবলম্বনে ছবিটিতে অভিনয় করেছেন মাধবী মুখোপাধ্যায়।
‘পদাতিক’ (১৯৭৩):
‘কলকাতা’ ট্রিলজির শেষভাগে সেই সময়ের কলকাতার আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থার প্রতিফলন ঘটিয়েছেন পরিচালক। এক রাজনৈতিক কর্মীকে নিয়ে লেখা গল্পে প্রধান চরিত্র করেন ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায়।
লেখা: নূফসাত নাদ্বরুন