২০২৪ সালে একুশে পদকের জন্য নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এই তালিকায় আছেন সংগীতশিল্পী শুভ্র দেবের নাম। সংগীতে বিশেষ অবদান রাখার জন্য তাকে করা হচ্ছে পুরস্কৃত। সম্মান প্রাপ্তিতে সবকিছু ঠিকঠাক ভাবেই চলছিল গায়কের জীবনে। কিন্তু কি এমন হলো যে কারণে দেশের আরেক জনপ্রিয় সংগীত তারকা প্রিন্স মাহমুদকে নিজের লেভেরই মনে করছেন না বলে মন্তব্য করলেন শুভ্র?
মূলত শুভ্র দেবের একুশে পদক প্রাপ্তিতে অনেকেই প্রকাশ করেছেন ক্ষোভ। ক্ষোভ প্রকাশ করা মানুষের এই লিস্টে আছে প্রিন্স মাহমুদেরও নাম। প্রিন্স সরাসরি একুশে পদক ফিরিয়ে দেয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন শুভ্রকে। এর থেকেই সূত্রপাত।
সম্প্রতি নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল থেকে প্রিন্স একটি স্ট্যাটাস পোস্ট করে লিখেছিলেন, ‘দেশের সংগীতে শুভ্র দেবের অবদান আছে কিন্তু তার চেয়ে অনেক বেশি অবদান লাকী আখন্দ, আইয়ুব বাচ্চু, ফুয়াদ নাসের বাবু, নকিব খান, কুমার বিশ্বজিৎ, তপন চৌধুরী, হামিন আহমেদ, মাকসুদুল হক, মাহফুজ আনাম জেমস এবং প্রিয় গীতিকবি কাওসার আহমেদ চৌধুরী ও শহীদ মাহমুদ জ”ঙ্গির।‘ এরপরই তিনি যোগ করেন, ‘প্রিয় শুভ্র দেবের উচিত এই প্রসঙ্গে কথা বলা। নিজে পদক না গ্রহণ করে সত্যকার মেধাবীকে পদক দিতে বলার এই সংস্কৃতি এখনই শুরু হোক।’
এদিকে গায়ক শুভ্র দেব মনে করেন, একুশে পদক তার আরও আগেই পাওয়া উচিত ছিল। তার ভাষ্যমতে, ‘সংগীত হচ্ছে গুরুমুখী বিদ্যা। এ নিয়ে বড়াই করার কিছু নেই। কিন্তু ইন্ডাস্ট্রিতে আমি যতটুকু দিয়েছি, ততটা খুব কম শিল্পীর কন্ট্রিবিউশন রয়েছে। শুধু গান করলেই তো হয় না।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমি যদি বলি বাংলাদেশের কোন সংগীতশিল্পী আন্তর্জাতিকভাবে ব্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়েছে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে থিম সং করেছে―আপনি কারও নাম বলতে পারবেন না। আমি দেশের প্রথম শিল্পী হিসেবে বলিউডের মিউজিক অ্যাওয়ার্ডে ইনভাইটেশন পেয়েছি। যা এখন থেকে ১০-১৫ বছর আগে হয়েছে। আবার মাত্র ১২ বছর বয়সে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছি। আসলে যারা আমার কাজ সম্পর্কে জানেন, তারা কিন্তু বলছেন এই পদক আরও আগেই পাওয়া উচিত ছিল আমার।’
আর প্রিন্সের এমন বক্তব্যের বিষয়ে শুভ্র বলেন, ‘প্রিন্স মাহমুদ কাজের দিক দিয়ে আমার থেকে অনেক ছোট। একটা সময় ছিল যখন সে গান নেয়ার জন্য আমার পল্লবীর বাসায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতো।‘ তিনি আরও বলেন, ‘আমি সেসব বলতে চাই না। সে তো আমার লেভেলের কেউ না। আমরা তো তাদেরই গণ্য করবো, যাদের বিশ্বসংগীতে কন্ট্রিবিউশন রয়েছে। আর যারা সমালোচনা করছে তারা মূলত জেলাস থেকে করছে। ওসব নিয়ে মাথা ঘামাই না আমি।’
দুই শিল্পীর একে অপরকে নিয়ে এমন মন্তব্য নজর এড়ায়নি নেটিজেনদেরও। অন্তর্জালে আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশের সংগীত জগতের এই দুই তারকা।