যে কারনে অভিনয়ে নেই অপূর্ব
নব্বই দশকের শেষ ভাগ থেকে ছোট পর্দার জনপ্রিয় মুখ জিয়াউল ফারুক অপূর্ব। অসংখ্য আলোচিত টেলিফিল্ম ও ধারাবাহিকে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি দীর্ঘদিন দর্শকপ্রিয়তার শীর্ষে ছিলেন। সাম্প্রতিক সময়ে নির্বাচিত নাটক ও ওটিটি প্রজেক্টে কাজ করে আবারও আলোচনায় ছিলেন এই অভিনেতা। তবে নিয়মিত কাজ থেকে হঠাৎ করেই তাঁকে আগের মতো পর্দায় দেখা যাচ্ছে না এ নিয়ে ভক্তদের মধ্যেও কৌতূহল ছিল দীর্ঘদিন। অভিনয়ে অনিয়মিত অপূর্ব সাম্প্রতিক এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন তাঁর পর্দায় কম দেখা যাওয়ার কারণ । দীর্ঘদিনের কৌতূহলের অবসান ঘটিয়ে তিনি ব্যাখ্যা করেছেন কেন আগের মতো নিয়মিত কাজ করছেন না।এক আয়োজনে নিজের অনিয়মিত উপস্থিতির কারণ পরিষ্কার করলেন এই অভিনেতা।

অনুষ্ঠানে ব্যক্তিগত ক্যারিয়ার নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়লে অপূর্ব স্পষ্ট করে জানান, তাঁর হাতে কাজের ঘাটতি নেই। তবে শারীরিক সীমাবদ্ধতার কারণে এখন আর আগের মতো টানা দৌড়ঝাঁপ করে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। বয়সের ভার, সঙ্গে দীর্ঘদিনের ব্যাকপেইনের সমস্যা সবকিছু মিলিয়েই এখন তিনি কাজ বাছাই করে করছেন। চিকিৎসকের পরামর্শে মাঝেমধ্যেই তাঁকে বিশ্রামে থাকতে হয় বলেও জানান তিনি।

এদিকে কিছুদিন আগে অপূর্বর সঙ্গে তাঁর ছেলের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। ভিডিওটি প্রকাশের পর কিছু নেটিজেন অপ্রাসঙ্গিক ও নেতিবাচক মন্তব্য করেন, যা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়।
এই প্রসঙ্গে নিরব না থেকে সাফ জবাব দেন অপূর্বর সাবেক স্ত্রী নাজিয়া হাসান অদিতি। তিনি জানান, তাঁদের ছেলে তাঁর সঙ্গেই থাকে এবং নিয়মিত বাবার সঙ্গে সময় কাটায়। অদিতির এই বক্তব্যের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশিরভাগ মানুষই বাস্তবতা বুঝে বিষয়টি ইতিবাচকভাবে দেখছেন।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে অপূর্বর সঙ্গে অদিতির দাম্পত্য জীবনের ইতি ঘটে। দীর্ঘ ৯ বছরের সংসারে তাঁদের একমাত্র সন্তান আয়াশ। বিচ্ছেদের পর দুজনেই নতুন জীবনে এগিয়ে গেলেও সন্তানের দায়িত্বে তাঁদের সচেতন অবস্থান প্রশংসিত হচ্ছে।