সালমান শাহ হত্যা মামলায় জামিন চাইবেন সামিরা
বাংলা চলচ্চিত্রের অমর নায়ক সালমান শাহ হত্যা মামলা আবারও আলোচনায়। দীর্ঘ ২৯ বছর পর হত্যা মামলার দায়ের করা হয়েছে। আর সেই মামলায় মোট ১১ জনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজন আছেন সেই তালিকায়। শুরুতে এটি আত্মহত্যা বলা হলেও, পরে পরিবার ও ভক্তরা দাবি করেন-এটি পরিকল্পিত হত্যা। প্রশ্ন উঠেছে সালমান শাহ হত্যা মামলার আসামিরা বর্তমানে কে কোথায় আছেন?

সামিরা ও অন্য আসামিরা কে কোথায়, জানুন বিস্তারিত
মামলায় আসামিরা হলেন–সালমান শাহর স্ত্রী সামিরা হক, শাশুড়ি লতিফা হক, ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই এবং খলনায়ক ডন। ডেভিড, জাভেদ ও ফারুক নামের তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। যাদের ঠিকানা দেওয়া হয়েছে রাজধানীর বিএফডিসি। এছাড়া বাকি চার আসামি হলেন ফরিদপুরের রেজভী আহমেদ, রুবী, ছাত্তার ও সাজু। অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজনও আছেন সেই তালিকায়। এসব আসামি কে কোথায় আছেন সুনির্দিষ্ট করে জানাতে পারেনি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী।
সামিয়ার জামিন নিতে হাইকোর্টে কে এই ইশতিয়াক?

হাইকোর্টে আগাম জামিন চাইতে পারেন মামলার এক নম্বর আসামি সামিরা হক। মঙ্গলবার তার বর্তমান স্বামী হাইকোর্টে আসেন জামিনের জন্য। এসময় তাকে আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেছে। ইশতিয়াক আহমেদ সাবেক ক্রিকেটার ও ক্রিকেট বিশ্লেষক। ২০২১ সালের ১৫ জুলাই সামিরা হকের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। প্রয়াত চিত্রনায়ক সালমান শাহর সাবেক স্ত্রী হিসেবে পরিচিত সামিরার এটি তৃতীয় বিয়ে।
বিতর্কিত ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের অবস্থান
আরমানিটোলায় ১৯৬২ সালে জন্ম আজিজ মোহম্মদ ভাইয়ের। পারিবারিক সূত্রের কারণে নিজেও শুরু করেন ব্যবসা। দিনে দিনে বাড়তে থাকে তার অর্থ সম্পদ। ঢাকা, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, হংকং, সিঙ্গাপুরে রয়েছে হোটেল ও রিসোর্ট ব্যবসা। আবার মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণও পাওয়া গেছে। তিনি সার্ক চেম্বারের আজীবন সদস্য। নব্বই দশকের চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় তাকে যাবজ্জীবন সাজা দেয়া হয়। কথিত আছে, ভারতের পলাতক ডন দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে রয়েছে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। বর্তমানে আজিজ মোহাম্মদ ভাই সপরিবারে থাইল্যান্ডে থাকেন। সেখান থেকেই ব্যবসা পরিচালনা করেন। দেশে তার স্ত্রী নওরিন ব্যবসা দেখাশুনা করেন।

দেশে কোথায় অবস্থান করছেন খলনায়ক ডন?
খলনায়ক ডনের দাবি- ‘আমি পালায়নি বাসাতেই আছি। ৩০ বছর পালাইনি, এখন পালাবো কেন? দু-একদিনের মধ্যেই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করব’।

পুরনো প্রতিবেদন ও তদন্তের অগ্রগতি:
২০১৬ সালে পিবিআই জানিয়েছিল, সালমান শাহ আত্মহত্যা করেছেন। তবে সালমানের পরিবার ও ভক্তরা এই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেন। বর্তমানে আদালতের নির্দেশে মামলাটি আবারও হত্যা মামলা হিসেবে পুনরায় তদন্ত করা হচ্ছে। রমনা থানায় নথিভুক্ত মামলাটি এখন পুলিশের হাতে তদন্তাধীন।