বিতর্কের জেরে সালমান খান পাকিস্তানে নিষিদ্ধ
বলিউড সুপারস্টার সালমান সম্প্রতি পাকিস্তানে নিষিদ্ধ হয়েছেন। কিছুদিন আগে তিনি এক অনুষ্ঠানে বেলুচিস্তান ও পাকিস্তানকে আলাদা দেশ হিসেবে উল্লেখ করেন। যা নিয়ে বেশ বিতর্ক তৈরি হয়। ভারতীয় গণমাধ্যমের দাবি, পাকিস্তানের ‘ব্ল্যাক লিস্ট’ তালিকায় সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের নাম থাকে।

যে মন্তব্যের জেরে শুরু বিতর্কের সূত্রপাত
সৌদি আরবের রিয়াদে অনুষ্ঠিত ‘জয় ফোরাম ২০২৫’-এ সালমান খান, শাহরুখ খান ও আমির খান একসঙ্গে অংশ নেন। সেখানে মধ্যপ্রাচ্যে ভারতীয় সিনেমার জনপ্রিয়তা নিয়ে আলোচনা চলছিলো। কথোপকথনের সময় সালমান বলেন, এখন যদি এখানে কোনো হিন্দি ছবি মুক্তি পায়, সেটা সুপারহিট হবে। তামিল, তেলুগু বা মালয়ালম সিনেমাও শত কোটি রুপি আয় করতে পারবে। কারণ এখানে অনেক দেশের মানুষ কাজ করছে। বেলুচিস্তান, আফগানিস্তান, পাকিস্তানসহ সব জায়গা থেকে মানুষ এসেছে। এই মন্তব্যেই মূলত বিতর্কের সূত্রপাত হয়। এই প্রতিক্রিয়ার পরই আরও ক্ষিপ্ত হয়েছে পাকিস্তান সরকার। তারা বলছে, সালমান খানের মতো প্রভাবশালী অভিনেতা এমন ‘অবিবেচনাপ্রসূত’ মন্তব্য করে দেশবিরোধী প্রচারকে উসকে দিয়েছেন। এছাড়াও এই মন্তব্যের জেরে পাকিস্তানজুড়ে সৃষ্টি হয় তীব্র ক্ষোভের।
এই ঘটনার পর পাকিস্তান সরকার ১৯৯৭ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ‘সিডিউল-৪’ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। এই তালিকাকে সাধারণভাবে ‘ব্ল্যাকলিস্ট’ বলা হয়। যেখানে থাকে সন্ত্রাসবাদ বা নিরাপত্তাজনিত কারণে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের নাম।

কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি সালমান খান
তবে এখনো পর্যন্ত এই বিতর্কে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি সালমান খান। তার ঘনিষ্ঠ মহলও নীরবতা বজায় রেখেছে। সূত্রমতে, বিষয়টি নিয়ে এখনই আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই বলতে চান না ভাইজান খ্যাত বলিউডের এই সুপারস্টার।
সালমানকে সন্ত্রাসবাদী আখ্যা দেওয়ার কারণ খুঁজে পেয়েছেন অনেকে। কেননা সম্প্রতি পাকিস্তানের বেলুচিস্তানকে আলাদা দেশ বলে সম্বোধন করেছেন সালমান। অনেকের ধারণা এ কারণে-ই ভাইজানের ওপর ক্ষেপেছে পাকিস্তান।
সালমান খান এবার বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে
তবে পাকিস্তান অসন্তুষ্ট হলেও সালমানেরে মন্তব্যে সন্তুষ্ট বেলুচিস্তানের নেতারা। ভাইজানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তারা। এরপরই এ তারকাকে সন্ত্রাসবাদী আখ্যা দেয় পাকিস্তান। সালমান খানের এই মন্তব্যে পাকিস্তানে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হলেও ভারতীয় সামাজিক মাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। বেশিরভাগ নেটিজেন বলছেন, সালমান খানের বক্তব্যকে ‘ভুল ব্যাখ্যা’ করা হয়েছে।