মর্মাহত সাদিয়া
রাজধানী ঢাকার ফার্মগেটে মেট্রোরেলের পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড খুলে নিচে পড়ে একজন পথচারীর মৃত্যু হয়েছে। যা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ থেকে শুরু করে নেটিজেনরাও বাদ যাচ্ছেন না মন্তব্য করতে। এ নিয়ে কথা বলেছেন ছোটপর্দার আলোচিত অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মান। পথচারীর মৃত্যুতে মর্মাহত জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মেট্রোরেলে পথচারীর মৃত্যুতে সাদিয়ার শোক প্রকাশ করেছেন । ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, “ঢুকেই এমন একটা নিউজ দেখে মনটা খারাপ হয়ে গেলো। সত্যিই, জীবনের ইতি কখন, কোথায় ঘটে যাবে কেউ জানে না। তবে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু কারো জন্যই কাম্য নয়। আল্লাহ আমাদের সবাইকে তার হেফাজতে রাখুন। আমিন।”

আবেগঘন বার্তা দিয়ে নেটিজেনদের কাছেও কঠিন এক সত্য তুলে ধরেছেন। সাদিয়ার পোস্টে বিভিন্ন ধরণের মন্তব্য করেছেন নেটিজেনরা। একজন লিখেছেন, এই দেশে হাঁটতে হাঁটতেও মানুষ মরে যায়। অন্য একজন লিখেছেন, নিউজটি দেখে মন খারাপ হয়ে গেল। মন্তব্যের ঘরে অনেকেই আল্লাহর কাছে দোয়া চেয়েছেন সবাইকে হেজাজতে রাখার।
দর্শকপ্রিয় এই অভিনেত্রী সম্প্রতি একাধিক নাটক ও ওয়েব সিরিজে কাজ করছেন। কিন্তু ব্যস্ততার মাঝেও এমন সামাজিক নানা ইস্যুতে সরব থাকায় ভক্তদের প্রশংসা কুড়িয়েছেন।

রবিবার রাজধানীর ফার্মগেট মেট্রোরেলের একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে আবুল কালাম নামের এক পথচারী মারা যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হাঁটার সময় ওপর থেকে বিয়ারিং প্যাডটি ওই পথচারীর মাথার ওপর পড়ে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। দুর্ঘটনার পরই সেখানে পুলিশ যায়। নিহত ব্যক্তির গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুর জেলায়। আবুল কালামের মৃত্যুর খবরে শোকার্ত ঈশ্বরকাটি গ্রামের বাসিন্দারা। কান্নায় ভেঙে পড়েন গ্রামে থাকা তার স্বজনেরা। অনেকে ছুটে যান ঢাকায়। মেট্রোরেলের পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ার কারণ অনুসন্ধানে একটি কমিটি গঠন করেছে সরকার। কমিটিকে দুই সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। বিয়ারিং পড়ে নিহত যুবকের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সিদ্ধান্তও হয়েছে। এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরেও ফার্মগেটে মেট্রোরেল লাইনের পিলারের একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়েছিল।