চিত্রনায়িকার পূর্ণিমার উপলব্ধি ও রহস্যময় পোস্ট
জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা দিলারা হানিফ পূর্ণিমা। বর্তমানে খুব একটা সিনেমায় দেখা যায় না তাকে। এমনকি নাটকেও দেখা যায় না। ‘যাদের আপন ভেবে দরজা খুলে দিই, তারা আসলে বিষধর সাপ’এমনই এক তীব্র ও রূপকধর্মী বাক্যে মনের কথা প্রকাশ করলেন অভিনেত্রী পূর্ণিমা। সিনেমা কিংবা নাটককে কাজ কম করলেও চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা উপস্থাপনায় সরব। মাঝে মধ্যে বিভিন্ন রিয়েলিটি শোর অনুষ্ঠানে বিচারকের আসনে হাজির হন। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বেশ সক্রিয় থাকেন।
রোববার দেশের জনপ্রিয় এই নায়িকা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি আবেগঘন পোস্ট করেছেন, যা তাঁর ভক্ত ও নেটিজেনদের নজরে এসেছে। পূর্ণিমা তাঁর ফেসবুক পোস্টে মানুষের স্বার্থপর আচরণ ও সম্পর্ক নিয়ে তাঁর গভীর উপলব্ধির কথা বলেছেন। তার এই লেখাটি মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। কেউ বিস্মিত, কেউবা একাত্মতা প্রকাশ করেছেন তার ভাবনায়। তার এই লেখায় অনেকেই মন্তব্য করেছেন, “পূর্ণিমা আপু আজকের বাস্তবতাই তুলে ধরেছেন,” আবার কেউ লিখেছেন, “এ যেন আমাদের জীবনের কথাই বলেছেন তিনি।”
সুন্দরী এই নায়িকা লিখেছেন, “মানুষের ভিড়ে কিছু মুখ থাকে, যাদের আমরা আপন ভেবে হৃদয়ের দরজা খুলে দিই। কিন্তু সময়ের কঠিন পরীক্ষায় টের পাই—তারা আসলে সম্পর্কের আবরণে লুকিয়ে থাকা বিষধর সাপ। প্রয়োজনে তারা বন্ধুর মুখোশ পরে পাশে ঘোরে, আর সুযোগ পেলেই বিষ ঢেলে দেয় আমাদের স্বপ্নে, আমাদের জীবনে।”
মানুষের যখন সুসময় থাকে তখন চারপাশে অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী জোটে, প্রশংসা করার মানুষের অভাব হয় না, ফেসবুক পোস্টে পূর্ণিমা এ বিষয়টিও উল্লেখ করেছেন।
পূর্ণিমা লিখেছেন, “যখন মানুষ জীবনের সাফল্যের শিখরে পৌঁছায়, তখন এরা মৌমাছির মতো চারপাশে গুনগুন করে ঘুরে বেড়ায়। প্রশংসার ফুলঝুরি ঝরিয়ে, সান্নিধ্যের ভান করে তারা আসলে নিজের স্বার্থের মধু সংগ্রহ করে। কিন্তু সময়ের চাকা যখন বিপরীতমুখী হয়, জীবন যখন সংগ্রামের অন্ধকারে ডুবে যায়, তখন তারাই সবার আগে দূরে সরে যায়। ঠিক যেমন মৌমাছি ফুল থেকে মধু নিঃশেষ হলে অন্য ফুলের কাছে উড়ে যায়, তেমনি তারাও সরে যায় স্বার্থের টানে।”
সবশেষ এ অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘তাই এদের থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়, কারণ মিথ্যা সম্পর্কের ভিড়ে নিজেকে হারিয়ে ফেলার চেয়ে নিঃসঙ্গতা অনেক বেশি শান্ত, নিরাপদ এবং মর্যাদাপূর্ণ।”
দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে চলচ্চিত্র, নাটক ও উপস্থাপনায় জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছেন পূর্ণিমা।